পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলাটিকে অন্য কেউ নয়, তার স্বামীই খুন করেছে। স্বামী তাকে না কি কষ্ট দিয়ে খুন করেছে। অভিযুক্ত স্বামীকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। তাদের তরফ থেকে ঘটনার কারণ জানানো হয়েছে৷ অভিযুক্তের স্ত্রী-এর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ছিল। এর জেরেই খুন করেছে ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন প্যাকেটে পচা মিষ্টি! সোন পাপড়ি, দুধের কেক কেনার আগে সাবধান
উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে মাইহারের কোঠি থানা এলাকার ছিপিয়া বস্তি গ্রামে। এখানে এক মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এরপর আশেপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যদের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা যায় ওই মহিলার নাম সীতা। তিনি একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছিলেন। স্বামীর নাম কমলেশ। তিনি নিয়োগ সহকারী পদে ছিলেন।
স্বামী প্রথমে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে৷ পুলিশ অত্যাচার শুরু করলে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে৷ অভিযুক্ত জানিয়েছে, সে স্ত্রীর মাথায় পাথর দিয়ে বারবার আঘাত করে হত্যা করেছে। আসলে স্ত্রী-এর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ছিল ব্যক্তির। সে সারাক্ষণ ফোনে কোনও না কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত থাকত। আর এতেই ওই ব্যক্তি ক্ষেপে গিয়ে খুন করেন।
আরও পড়ুন: ছোট হাতির ধাক্কায় ছিটকে গেল স্কুটি! পিষে গেল ব্যবসায়ীর পুত্রের দেহ, বিস্তারিত জানুন
পরিবারের সদস্যরাও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছে৷ তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করত। এ নিয়ে প্রতিদিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। অনেক সময় পরিবারের লোকজন হস্তক্ষেপ করে বিবাদ মিটিয়ে দেয়। পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, তাদের কোনও সন্তান হয়নি। এ কারণে কমলেশ তার স্ত্রীয়ের প্রতি সারাক্ষণ বিরক্ত থাকতেন। ২৭ অক্টোবরও দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এই বিবাদ এতটাই বড় হয়ে ওঠে যে কমলেশ সীতাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেন।