এ দিন বৈঠক শুরুর পরই লোকসভায় দলনেতা বদলের বিষয়টি তোলেন তৃণমূলনেত্রী৷ লোকসভার দলনেতা হিসেবে অভিষেকের নাম প্রস্তাব করেন বাকি সাংসদরা৷ সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেন তৃণমূলনেত্রী৷
সূত্রের খবর, এ দিন ভার্চুয়াল বৈঠকের শুরুতেই অভিষেকের খোঁজ করেন তৃণমূলনেত্রী৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেতা হিসেবে উপস্থিত না থাকায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূলনেত্রী৷ তার উপর দলের আর এক সিনিয়র সাংসদ সৌগত রায়ও অসুস্থ৷ সূত্রের খবর, ‘তৃণমূলনেত্রী সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার মনে হয় সুদীপ দা অসুস্থ তাই কো-কো-অর্ডিনেশনের অভাব হচ্ছে কোথাও একটা৷ প্রয়োজন হলে তোমরা একটা কমিটি গড়ো। এই ভাবে বিশৃঙ্খলা হতে পারে না৷’ এর পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন তিনি৷
advertisement
সূত্রের খবর, ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেওয়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সুদীপদা আপনি অসুস্থ৷ আপনি কেন বৈঠকে যোগ দিলেন? সৌগত দার সাথেও কথা বলেছি। আপনাদের দুই জনের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে যে যা খুশি করছে। আমাকে হাজারটা জিনিস নিয়ে ভাবতে হয়৷ তার মধ্যে এগুলো কী হচ্ছে? বিধায়ক বা দলের অন্যান্যদের জন্য যখন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি করেছি৷ তখন সংসদদের নিয়ে আমাকে করতে হবে শীঘ্রই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি৷ কেউ বিশৃঙ্খল আচরণ করলে সেই কমিটি ব্যবস্থা নেবে। একজন সাংসদ সিবিআই কে চিঠি লিখে দিলেন৷ আমাদের দলে এই সব হয়না।’
সংসদে এসআইআর এবং বাংলা ভাষার অপমান নিয়েই সাংসদদের সরব হতে নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলনে, ‘লোকসভায় যার যা জানার বা বলার থাকবে তা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বলবেন। কারও যদি আমাকে কিছু বলা খুব জরুরি বলে মনে হয়, তখন আমাকে জানাবেন।’
মমতা এর আগেও জাতীয় স্তরে অভিষেকে গুরুত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বিদেশে ভারতীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলেও অভিষেকের নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা৷