দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা গাজীপুরে গত ৭ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। এ দিন কৃষকরা যাতে রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছতে না পারে সেইজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয়, বাহিনী ঘিরে দেওয়া হয়েছিল রাস্তা। রাজধানী দিল্লির আনাচে-কানাচে নাকা চেকিং শুরু হয়। স্বভাবতই কৃষকরা রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি।সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতা রাকেশ নিউজ ১৮ বাংলাকে জানিয়েছেন, "এইভাবে পুলিশি জুলুম করে কৃষকদের আটকানো যাবে না। আন্দোলন নিজের পথেই চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় কৃষি আইন গুলি প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ সড়কের উপরেই বসে থাকবেন বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কৃষকরা।"
advertisement
এই প্রসঙ্গে তিনি নিউজ ১৮ বাংলাকে জানান, "বিরোধী দলগুলি একজোট হয়েছে সেটি রাজনীতির বিষয়। আমি বাংলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিপুল জয় পেয়েছেন তার পেছনেও রয়েছে কৃষক আন্দোলন। আবার কলকাতায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। দেশজুড়ে ওঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ ওঁকে ভালোবাসেন। বড্ড জেদি মহিলা। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
এ দিকে, ভারতের এই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স-এ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেখানকার মানুষ। রাজধানীর বুকে অশান্তির আশঙ্কায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার পাশাপাশি দিল্লিতে তিনটি ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সর্বভারতীয় কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, "কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ৭ মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সরকার নির্বিকার। তাই সরকারের টনক নাড়িয়ে দিতেই গোটা দেশজুড়ে রাজ্যপাল মারফৎ রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি পাঠানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।"
Rajib Chakraborty