আরিয়ান এভিয়েশনের হেলিকপ্টারটিতে পাইলট-সহ ৭ জন ছিলেন। ভোর ৫টা ১৭ নাগাদ বিমান ওড়ে গুপ্তকাশী থেকে।উত্তরাখণ্ডের এডিজি (আইন ও শৃঙ্খলা) ডঃ ভি মুরুগেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টারটি দেরাদুন থেকে কেদারনাথ যাচ্ছিল। গৌরিকুণ্ডে পৌঁছে হঠাৎ সেটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
২৪১ নয়, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৪! ভাঙা প্লেনের নীচেও অজস্র শব?
advertisement
উল্লেখযোগ্য যে, এবারের চারধাম যাত্রার সময় বিভিন্ন ধামে একাধিকবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি একাধিকবার জরুরি অবতরণও করতে হয়েছে। সম্প্রতি একটি হেলিকপ্টার মাঝ রাস্তার উপর জরুরি অবতরণ করেছিল। যাত্রার শুরুতেও একবার একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে, যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
রবিবারের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ধরনের ধারাবাহিক দুর্ঘটনার কারণে কেদারনাথ রুটে হেলিকপ্টার পরিষেবার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৬০টি ট্রিপ কমানো হয়েছে। সাধারণত এই রুটে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি হেলিকপ্টার ট্রিপ হয়। DGCA (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়মিত দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। দিন প্রতি ২০০ সর্টি থেকে কমিয়ে ৬০ সর্টি করে দিয়েছিল ডিজিসিএ। চারধাম যাত্রার রিয়েলটাইম মনিটরিং, সারপ্রাইজ ইন্সপেকশন-ও বাড়ানো হয়েছিল ডিজিসিএর তরফে। তার মধ্যেই ফের বড়সড় বিপর্যয় ঘটল আজ।
DGCA কেদারনাথ রুটে হেলিকপ্টার চলাচলে কড়া বিধি প্রয়োগ করেছে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, গুপ্তকাশী থেকে প্রতি ঘণ্টায় দু’বার করে হেলিকপ্টার উড়তে পারবে। অর্থাৎ, দিনে মোট ৮ ঘণ্টায় ১৬ বার হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু থাকবে।
দুর্ভাগ্যজনক এই দুর্ঘটনা চারধাম যাত্রাকে আবার শোকাচ্ছন্ন করে তুলল। প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন উঠছে, এই পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে কি না।