পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাহুল চবন, তিনি ওয়াসিম জেলার বাসিন্দা। চবন তাঁর স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ সেই সময় দম্পতির মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার মধ্যেই, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে৷ অন্যদিকে রাহুল তাঁর মেয়েদের সঙ্গে একাই বেরিয়ে পড়েন।
advertisement
রাগের বশে, রাহুল যমজ মেয়ে দু’টিকে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ির একটি জঙ্গলে নিয়ে যান, যেখানে তিনি তাদের গলা কেটে হত্যা করেন। ঘটনার পর, চবন সরাসরি ওয়াসিম থানায় যান৷ সেখানে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তির পর, একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং দুই শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার করে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে মৃতদেহগুলি আংশিকভাবে পুড়ে গিয়েছে, যা সন্দেহ জাগিয়ে তোলে৷ তদন্তকারীদের ধারণা, দুই শিশুকন্যাকে হত্যার পর তাদের গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন রাহুল।
তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এখনও তদন্তের এই দিকটি নিশ্চিত করতে পারেননি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে এবং খুনের পর দুই শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে কি না তা নির্ধারণের জন্য একটি ফরেনসিক পরীক্ষা এবং ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিওয়াইএসপি) মনীষা কদম-সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নথিপত্র সংগ্রহ করে এবং এলাকা থেকে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ শুরু করে।
