সূত্রের খবর, একটি চার্টার্ড বিমানে ৪৪ জন কংগ্রেস বিধায়ককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশে৷ বিধায়কদের আটকে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে৷ বিধানসভায় আস্থা ভোটে যাতে বিধায়করা বিজেপি-র বিরুদ্ধে ভোট দেন, তার জন্য মরিয়া কংগ্রেস৷ ২৪ অক্টোবর মবারাষ্ট্রে ভোটের রেজাল্ট বেরনোর পরেই সব বিধায়ককে জয়পুরে নিয়ে গিয়ে রিসর্টে রেখেছিল কংগ্রেস৷ কারণ, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার৷ অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী৷ শিবসেনা তাদের বিধায়কদের রেখেছে মুম্বইয়ের হোটেল ললিতে৷
advertisement
অন্যদিকে আস্থা ভোট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি৷ কংগ্রেস মনে করছে, আজ রাতেই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হতে পারে৷
শুক্রবার রাত পর্যন্তও ঠিক ছিল, সরকার গড়ছে এনসিপি-শিবসেনা-কংগ্রেস জোট৷ শনিবার সকালে হঠাত্ সব ঘুরে যায়৷ শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ল বিজেপি-এনসিপি জোট৷ শুক্রবার সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উদ্ধব ঠাকরের নামও ঘোষণা হয়েছিল৷ কিন্তু তার পর দিন সাত সকালেই পাল্টে গেল সব সমীকরণ৷ এনসিপির হাত ধরে জোট সরকার গড়ল বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী হলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার৷
উল্লেখ্য গত বুধবার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন শরদ পাওয়ার৷ তবে তাতে সরকার গঠন নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি করে দুই দল৷ মোদি ও পাওয়ারের বৈঠকের পরপরই তড়িঘড়ি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের পক্ষে মত দেন সোনিয়া গান্ধি৷ তারপরই শুরু হয় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া৷ কিন্তু সেই সব প্রক্রিয়া ভেস্তে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি৷ মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
আরও ভিডিও: ঠিক কী ঘটেছে মহারাষ্ট্রে?