আপন খেয়ালে বইছে গঙ্গা। হয়তো আকবরের সময়ের থেকেও আগে। তাই, ভুলে গিয়েছে সময়-কাল-তারিখ। রোজই দেখা হয় দশাশ্বমেধের সঙ্গে। কথা হয়। আবার বয়ে চলে। বড় ঘিঞ্জি। ইস এত গলি ! এই গঞ্জনার সঙ্গেই আছে রোমান্টিকতা। বেনারস যা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আকবরের অন্যতম প্রিয় শহরের গায়ে লেগেছে আধুনিকতার প্রলেপ। জয় বাবা নরেন্দ্রনাথ। স্থলে তো বটেই। রূপ হারানো মা গঙ্গাও, আজ নতুন সাজে।
advertisement
পাঁচ বছর আগে প্রবল ঝড় তুলে বারাণসী থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন তৎকালীন পোস্টার বয়। লড়াইটা শক্তই ছিল। প্রতিপক্ষের নাম আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাতেও মার্জিন ছিল তিন লক্ষ একাত্তর হাজারের বেশি। গত বিধানসভা ভোটে এই লোকসভার পাঁচ বিধানসভাই গেরুয়ার কব্জায়।
প্রিয়ঙ্কা বনাম মোদি ? উনিশের লোকসভা শুরুর কিছু পরেই বারাণসীর উপরে ছিল এই হাওয়া। বিশেষ করে মোদি হঠাতে কংগ্রেসের তোড়জোর দেখে তাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। বারাণসী থেকে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন খোদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধি। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সেই কংগ্রেসেই। ফ্রন্টফুটে নয় মোদির বিরুদ্ধে এবারও অজয় রাইকে প্রার্থী করে বিজেপির বাউন্সার সামলাতে হচ্ছে।
নিঃসন্দেহে গত পাঁচ বছরে হাই-প্রোফাইল কেন্দ্রের নাম বারাণসী। এখানে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরের নাম নরেন্দ্র মোদিই। ঘাট সংস্কারের পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় প্রকল্প গঙ্গা সংস্কার। প্রিয়ঙ্কা না থাকায় বারাণসীর পিচ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে মোদির কাছে। কারণ, বিধানসভার ভোটে হেরো অজয় রাই, তাঁর মূল প্রতিপক্ষ। আছেন মহাজোটের এসপি প্রার্থী শালিনী যাদব।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বারাণসীতে ওয়াকওভার। কারণ, মোদি জিতছেন নিশ্চিত বিরোধীরাও। বিজেপির চিন্তা অন্য জায়গায়। গতবার মার্জিন ছিল তিন লক্ষ একাত্তর হাজার সাতশো চুরাশি। এবার কত ? সময় বলেছে, মোদি হাওয়া এবার ক্ষীণ। কী বলবে বারাণসী, জানতে অপেক্ষা তেইশে মে।