ঘটনাটি আলিগড়ের জয়পুর থানার অন্তর্গত। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ। গত ২৭শে অগাস্ট, পৃথিবী নামে ওই এক রত্তিকে তনুজ চাহারের থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তনুজ শিশুটিকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, শিশুটি কিছুতেই তনুজকে ছাড়তে চাইছিল না। ভিডিওতে দেখা যায় একপ্রকার জোর করেই তনুজের থেকে শিশুটিকে সরিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি তাঁর মায়ের কোলে চলে যায়।
advertisement
পুলিশ স্টেশনের বাইরে শিশুটির পরিবার অপেক্ষা করছিল। পুলিশ আধিকারিকরা এরপর শিশুটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেন। ততক্ষণে অপহরণকারী ওই তনুজের চোখেও জল।
সূত্রের খবর, ৩৩ বছর বয়সী আগ্রার বাসিন্দা তনুজ জয়পুর রিজার্ভ পুলিশ লাইনের হেড কনস্টেবল ছিলেন। পুলিশের কর্তব্য থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পৃথিবীকে আগে থেকেই চিনতেন তিনি। যমুনা নদীর ধারে পৃথিবীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পৃথিবীকে অপহরণ করার পর থেকেই লম্বা দাড়ি রেখে বারবার নিজের বেশ বদলাতে থাকেন তিনি। পুলিশের খুঁটিনাটি জানার জন্য পালিয়ে বেড়ানো তাঁর জন্য অনেকটাই সহজ হয়।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার সার্বিক উন্নয়নে জোর, বার্তা মানিক সাহার
পৃথিবীকে অপহরণ করার আগে আশ্চর্যজনক ভাবে শিশুটির মা পুনম চৌধুরীকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি। যখন তাঁর মা সম্ভব নয়, এরপরেই শিশুটিকে অপহরণ করেন তনুজ।
জয়পুর পুলিশ এএসপি পুনমচাঁদ বিষ্ণোই জানান, যখন শিশুটিকে নিয়ে তনুজ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তখনও শিশুটির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তনুজের। আপাতত পুলিশের হেফাজতেই রাখা হয়েছে তনুজকে।