তথ্য বলছে, শেষ সিপিআইএমএল বিহারে বামেরা শেষ ভালো ফল করেছিল ১৯৯৫ সালে, অবিভক্ত বিহারে সেবার লালুপ্রসাদের দলের সঙ্গে জোট করে লড়েছিল বামেরা। এরপরে টিমটিম করে জ্বলেছে দলের অস্তিত্ব। ২০০৫ এ সিপিএম বিহারে সিপিএম দুটি আসন পায় আর ২০১০ সালে সিপিআই বিহারে ১টি আসন জিতেছিল। এই অবস্থা থেকে বামেরা এতটা ঘুরে দাঁড়াবে অনেকেই ভাবেনি। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী বিহার সিপিএম সম্পাদক অবধেশ কুমার সিংহ বলছেন, আরও বেশি আসনে লড়লে ফল আরও ভালো হত।
advertisement
বিহারে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মহাগঠবন্ধনে বেশ মতোবিরোধ ছিল। বারবার টানাপোড়েন সামনে আসায় হস্তক্ষেপ করেন লালুপ্রসাদ যাদব। স্থির হয় আরজেডি কংগ্রেসের জোটে শামিল হবে তিন বাম দল যথা সিপিআই(এমএল), সিপিআই, সিপিএম। এর মধ্যে লিবারেশন প্রার্থী দেয় ১৯টি আসনে। সিপিআই প্রার্থী দেয় ৬ আসনে, আর সিপিএম প্রার্থী দেয় ৪ আসনে। এলাকা এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বামেরা যথেষ্ট ছানবিন চালিয়েছিল, মরা গাঙে জোয়ার এসেছে তাতেই। ত্রিপুরা, কেরল, বাংলা ছাড়া বাম অস্তিত্বের কথা বলতে হলে এবার বিহারের কথাও বলতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে তারা হারানো জমি খুঁজে পাবেন বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
কিন্তু এখান থেকে আসছে অন্য প্রশ্ন। বাংলার ভোটের রণডঙ্কা বেজে গিয়েছে। ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলায় জমি কামড়ে পড়ে থাকা বামেরা একটু একটু করে ক্ষইতে থাকে মিলেনিয়ামে। ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় তারা। তারপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। এই রাজ্যে কার্যত তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে তারা। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকের কান্না, লকডাউন, খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যাকে ইস্যু করে বিহারে যে ভাবে মানুষের মন জয় করল বামেরা, বাংলায় কি পারবে?
