কুণাল ঘোষ নিউজ ১৮'কে বলেছেন, "ত্রিপুরা পুলিশ আমার নামে মামলা করেছে। রাত থেকেই আমাকে খোঁজা হচ্ছে কোনো একটি কাগজ নিয়ে।রবিবার অভিষেকের সভা আর আসন্ন পুরভোটের আগেই বিজেপি আমাকে গ্রেপ্তার করাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।আমি সভায় বলেছিলাম জনবিরোধী নীতি জনগণকে পর্যুদস্ত করা বিজেপি নজর ঘোরাতে 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে।আমিও হিন্দু। আমি ঈশ্বরবিশ্বাসী। আমিও রামচন্দ্রকে নমস্কার করি। কিন্তু মা, বোনেদের বলব জয় শ্রীরাম বলে কেউ বিজেপির ভোট চাইতে এলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন রামচন্দ্র রাজা হলেও মা সীতাকে অন্তঃসত্তা অবস্থায় কেন জঙ্গলে যেতে হয়েছিল? কেন পাতালপ্রবেশ করতে হয়েছিল?"
advertisement
কুণালের ব্যখ্যা, "বিবিজেপি হিন্দুত্বের দোকান খুলে ভোট চায়। আমরা ধর্মের নামে রাজনীতির বিরুদ্ধে। আমরা সম্প্রীতি, সংহতি চাই। ধর্ম থাকুক নিজের কাছে। রোটি কাপড়া আউর মাকানের অধিকারের লড়াই থাকুক রাজনীতির ময়দানে। পুলিশ বলছে, এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে। তাই মামলা।"
কুনাল ঘোষ মনে করছেন, ত্রিপুরায় বিজেপি অভিষেকের সফর নিয়ে আতঙ্কে। তাঁর যুক্তি, তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে।আমাদের প্রচারে ওরা কোণঠাসা।কন্ঠরোধ করতে চাইছে। কুণাল মনে করেন, ওদের উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। তাঁর কথায়, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের লাগাতার দাম বৃদ্ধি থেকে নজর ঘোরাতে ধর্মীয় রাজনীতির খেলার মুখোশ খুলে দিচ্ছি।তাই দমনপীড়নজনিত কারণে এই মামলা। পুলিশ খুঁজছে খবর পেয়েছি। ওদের কাগজ বা চিঠিটায় কী আছে এখনও জানি না।
অন্য দিকে ত্রিপুরা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বিজেপি সন্ত্রাস করছে, ভয় দেখাচ্ছে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজ্যপালকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। পুরভোটের আগে তাই বিজেপি বনাম তৃণমূলে সরগরম ত্রিপুরা৷