শুক্রবার ত্রিপুরায় কুণাল ঘোষকে একসঙ্গে জেরা করছে চার থানার পুলিশ। আগরতলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উদয়পুরের কাছে বাগমা ফাঁড়িতে জেরা চলছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছেন ওমপি, বীরনগর, আর কে পুর ও কাঁকড়াবন থানার তদন্তকারী অফিসাররা। ফাঁড়ি ঘিরে রেখেছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের বক্তব্য: কুণাল কেন ভাষণে সীতার পাতালপ্রবেশ টেনেছেন? এটা তো ধর্মের বিষয়।
advertisement
কুণাল বলছেন: বিজেপি কেন জয় শ্রীরাম বলে তৃণমূলের উপর হামলা করছে ? কেন রামরাজ্য বলছে? ওরা রাম বললে আমি কেন মা সীতার অপমান ও পাতালপ্রবেশ বলতে পারব না?
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা কি ভিন রাজ্যে? মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে সব নজর ১৫ নভেম্বরের দিকে
কুণালের দাবি: হয় রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ হোক। অথবা পুলিশ বলে দিক রামায়ণের কোন কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে কিংবা যাবে না।
কুণাল এদিন বাল্মীকি রামায়ণ সহ রামায়ণ গবেষণার ছটি বই এবং আন্তর্জাতিক গবেষণার নথি নিয়ে যান। তিনি বলেন, ''আমি বিশেষজ্ঞদের লেখার বাইরে কোন কথা বলিনি। তাই মহাকাব্যের উপর ভিত্তি করে কোন অভিযোগ হতে পারে না। এটা বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।
'' রামায়ণের সংশ্লিষ্ট অংশ নিয়ে একটি নোটও পুলিশ অফিসারদের দেন কুণাল।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-বিরোধিতা মানেই বহিষ্কার! রাজ্য BJP-র অন্দরে ঝড়, অশনিসংকেত দেখছেন অনেকেই
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলে ফিরবেন শুভেন্দু অধিকারী'! এবার বিস্ফোরক অভিযোগে সরব 'আদি' BJP নেতা
ত্রিপুরায় হওয়া একের পর এক মামলা প্রসঙ্গে গতকালই ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ''ত্রিপুরা সরকার আমার নামে আরও চারটি মামলা দিল। হুবহু এক ধারায়। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে ৯টি মামলা হল। ওরা জয় শ্রীরাম বলে হামলা করবে। আমি সীতার পাতালপ্রবেশ বললে মামলা। আজ আগরতলা যাচ্ছি। পুলিশ এত মামলা, নোটিসে পরিশ্রম না করে আমাকে গ্রেফতার করুক। তৃণমূলকে ঠেকাতে হামলা-মামলার ছক।'' কুণালের আরও সংযোজন, ''ত্রিপুরাতেও বিজেপি একেবারে কোণঠাসা। ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে একদম। তৃণমূলের নেতাদের হামলা-মামলা এসব দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করার চক্রান্ত করছে ওরা। আবার তিনটে মামলা দিয়েছে তাই।''