রাজ্যে আগামী মাসে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে, আর তাঁর মধ্যে এই খবর প্রকাশ্যে আশায় সরকারের চাপ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে সামনে এসেছিল এই সোনা পাচারকাণ্ড। তিরুবনন্তপুরমে UAE বাণিজ্য দূতাবাসের এক আধিকারিকের নামে আসা একটি প্যাকেজে ৩০ কেজি সোনা উদ্ধার করেছিল আবগারি দফতর।
কাস্টমস বিভাগ জানায়, স্বপ্না সুরেশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব এবং বরিষ্ঠ IAS আধিকারিক এম শিবশঙ্কর বাণিজ্য দূতাবাসের আধিকারিক আর পাচারকারী সিন্ডিকেটের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। স্বপ্না জানায় যে, সে আরবি ভাষা জানত বলে তাঁকে বৈঠকে অনুবাদ করার জন্য ডাকা হত।
advertisement
হাইকোর্টে কাস্টমস বিভাগের কমিশনার সুমিত কুমারের তরফ থেকে দায়ের করা তথ্য অনুযায়ী, স্বপ্না সুরেশ স্পষ্টভাবে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রাজ্যের তিন মন্ত্রী আর স্পিকারের অবৈধ গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে এই ইস্যূতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরাও।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে বেআইনিভাবে ৩০ কেজি সোনা আসে কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে। সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করে আবগারি দফতর। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, কোনও প্রভাবশালীর সোর্সেই এই বিপুল মূল্যের সোনা কেরালায় আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় স্বপ্না সুরেশ স সরীথ কুমার নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। তদন্তে উঠে আসে ওই দুজনেই কেরালার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেটে কাজ করতেন।