সূত্রের খবর, মন্দিরের দেওয়াল ও সিলিং সোনায় মুড়তে মোট ৫৫০ টি সোনার পাত ব্যবহার করা হয়েছে। মোট তিন দিন লেগেছে মন্দিরে সোনার পাত লাগাতে। ২জন এএসআই অফিওসারের তত্বাবধানে সোনার পাত লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়। মোট ১৯ জন কারিগর এই কাজটি করেন। আইআইটি রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি ছয় সদস্যের দল এই প্রক্রিয়াটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। সোনার পাতগুলি ১৮ টি খচ্চরের মাধ্যমে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। গত মাসে মন্দিরের পুরোহিতের একাংশ মন্দিরে সোনার পাত লাগানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, এতে মন্দিরের শতাব্দী- প্রাচীন ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হবে। পাশাপাশি, সোনার পাত লাগানোর জন্য মন্দিরের দেওয়ালে গর্ত করতে হবে, এতে মন্দিরের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
advertisement
আগে মন্দিরের গর্ভগৃহের চার দেওয়ালে রুপোর প্রলেপ দেওয়া ছিল। সেটাই তুলে দিয়ে তিন দিনের মধ্যে সোনা দিয়ে মোড়া হল মন্দির প্রাঙ্গণ। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি কেদারনাথ-বদ্রিনাথ মন্দির ট্রাস্টের কাছে কেদারনাথ মন্দিরটি সোনা দিয়ে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। ট্রাস্ট সেই ইচ্ছেকে মান্যতা দেয়, এরপর সুপারিশ পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের কাছে। উত্তরাখণ্ড সরকার অনুমতি দেয় তাতে। গোটা কাজের আর্থিক দায়িত্বও নিয়েছেন মুম্বইয়ের ওই ব্যবসায়ী।