২০১৫ এবং ২০১৬ এই দু'বছরে পাক হামলায় শহিদ হয়েছেন প্রায় ২৩ জন ভারতীয় জওয়ান। সীমান্তে প্রায় রোজই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘণ করছে পাক সেনা। কোনও না কোনও সেক্টরে গুলি-গোলার শব্দ। কৃষ্ণাঘাটিতে দুই ভারতীয় জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদের ঘটনার পর ভারতীয় সেনাও রাজৌরির কালসিয়া সেক্টরে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাক সেনার বাঙ্কার। নিকেশ করা গিয়েছে জঙ্গিদের।
advertisement
কিন্তু কোথায় থামবে এই সংঘাত? সরাসরি যা যুদ্ধ বলতে নারাজ কোনও দেশই। ছায়াযুদ্ধ বা বদলার এই লড়াইয়ে ক্ষতি কিন্তু দু'দেশেরই। চোরাগোপ্তা আক্রমণ, কখনও সেনাঘাঁটি আক্রমণ আবার কখনও পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ। তা ঠেকাতে তৎপর ভারতীয় সেনা। কিন্তু কোথাও কি রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর সঠিক নীতির অভাবেই এমন অবস্থা কাশ্মীরের? বিধানসভা ভোটে পিডিপি-বিজেপি জোটের মূল অ্যাজেন্ডা তো ছিল ভূস্বর্গের শান্তি। কিন্তু, ঘটনাক্রম বলছে উপত্যকায় শান্তি ফেরেনি, ব্যর্থ সব প্রচেষ্টা। তাহলে কি প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ সরকার? জঙ্গির দেহ নিয়ে মিছিল, পুলিশের গাড়িতে পাথর হামলা, সরকার বিরোধী স্লোগান, এমনই হাজারো ছবি ধরা পড়ছে। দেখা গেছে পুলিশ বিরোধী বিক্ষোভে সামিল স্কুল পড়ুয়াদেরও।
দফায় দফায় কাশ্মীরে ছুটে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তির আবেদন করেছেন বারবার। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাতেও অধরা কোনও রফাসূত্র।
সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন এখানেই। কেন, কার বিরুদ্ধে ক্ষোভ? দেশ না নীতি? বিরোধীরাও এই সুযোগে শাসকদলের ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে।
- কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লির অবস্থান কি হবে
- পাক সেনার বিরুদ্ধে হামলাই কি একমাত্র বিকল্প
- কাশ্মীরে জঙ্গিদের দাপট কমছে না কেন
- কেন পড়ুয়ারা পুলিশ বিরোধী বিক্ষোভে সামিল
কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক কোন পথে মিলবে সমাধান ? সরকার এমন কি পদক্ষেপ করলে শান্তি ফিরবে? কবে খুলবে ভূস্বর্গের সব স্কুল? সেনার বুটের আওয়াজ আর বুলেটের শব্দ ছাপিয়ে কবে শোনা যাবে স্কুল থেকে ভেসে আসবে পড়ুয়াদের সমস্বরে পড়ার আওয়াজ? উত্তর খুঁজছে কাশ্মীর। উত্তর এখনও অজানা।