ইতিমধ্যেই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন ওই খুনের দায় স্বীকার করেছে । এ ছাড়াও তারা জানিয়েছে, এই খুন তাদের উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠার একটি পদক্ষেপ মাত্র । পরবর্তীতে অন্য কেউ এই কাজ করলে তাঁকেও একই শাস্তি পেতে হবে ।
গত বছরই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছে কেন্দ্র । এর ফলে কাশ্মীরে এখন সকলেই জমি, বাড়ি কিনতে পারেন । এই পরিবর্তনের পথ সুগম করেছে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে দু’টি কেন্দ্রশাসীত অঞ্চল করার কেন্দ্রীয় প্রস্তাব। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি যে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ভাল চোখে দেখছে না, তা বলাই বাহুল্য । যে কারণে ক্রমাগত হত্যালীলা চালাচ্ছে তারা ।
advertisement
সরকারি হিসাবে বলছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ নাগরিকত্বের শংসাপত্র করিয়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ । এই প্রমাণপত্র থাকায় কাশ্মীরের বাসিন্দারা এখন সেখানে জমি, বাড়ি কিনতে সক্ষম । তবে রাজ্যের বাইরের মানুষরা কী ভাবে ভূ-স্বর্গে জমি কিনতে পারবেন, সে ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দিষ্টি নির্দেশিকা জারি করেনি কেন্দ্র ।
সৎপাল নিশ্চলের পরিবার জন্মসূত্র পঞ্জাবী । তবে গত পাঁচ দশক ধরে কাশ্মীরে রয়েছেন তাঁরা । নিশ্চল পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই সোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত । এমনকি কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ যে সময় মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছিল, সে সময়ও নিশ্চল পরিবারের কেউ কাশ্মীর ছেড়ে যাননি । সৎপাল নিশ্চলের প্রতিবেশী জানালেন, তিনি তাঁদের ঘরের মানুষের মতোই ছিলেন । কখনওই তাঁকে বহিরাগত বলে মনে করতেন না তাঁরা । স্নেহবৎসল মানুষ বলেই সৎপালকে চিনতেন সকলে । তাঁকে কাশ্মীরী ভাই বলেই মনে করতেন ।
পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জঙ্গিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে ।