২০০৭ সালে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড বা এফআইপিবি-র নিয়ম ভাঙায় আইএনএক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে কর সংক্রান্ত তদন্ত চলছিলই। অভিযোগ ওঠে, বাবা পি চিদম্বরম কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে এই তদন্তের ওপর প্রভাব খাটান ছেলে কার্তি চিদম্বরম। গত বছর মে মাসে কার্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এ বছরের ষোলোই ফেব্রুয়ারি দেশের চোদ্দটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় কার্তির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। কার্তিকেও হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়। সমনের বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন কার্তি। সেই আবেদন খারিজ হওয়ায় বুধবার তাঁকে চেন্নাই বিমান বন্দরেই গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই ও ইডির অভিযোগ,
advertisement
- ২০০৭ সালে আইএনএক্স মিডিয়াকে চার কোটি বাষট্টি লক্ষ টাকা বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণের মঞ্জুরি দেয় এফআইপিবি
- কিন্তু মরিশাসের তিনটি সংস্থা থেকে তিনশো পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ নেয় আইএনএক্স
- ফেমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শুরু হয় তদন্ত
- তদন্তকে প্রভাবিত করেন কার্তি চিদম্বরম
- এজন্য কার্তিকে দশ লক্ষ টাকা দেয় আইএনএক্স সংস্থা
কার্তি চিদম্বরম গ্রেফতার হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, নীরব কেলেঙ্কারি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এই গ্রেফতারি।
যদিও বিজেপির পালটা, সত্যের জয় হবে। যা হচ্ছে তা আইন মেনেই হচ্ছে।
কার্তি চিদম্বরমকে বুধবারই দিল্লিতে সিবিআই বিশেষ আদালতে তোলা হয়। পাঁচই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। নীরব কেলেঙ্কারি নিয়ে শাসককে কোণঠাসা করতে মুখিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধীদের পালটা দিতেই কার্তি চিদম্বরমের গ্রেফতারিকে ট্রাম্প কার্ড করতে চাইছে শাসকপক্ষ।