২২৪টি আসনের মধ্যে সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি-র ঘরে আসন আসবে ১০৩-১১৫টি, কংগ্রেসের ৭৯-৯১টি এবং জনতা দলের (সেকুলার) পেতে পারে ২৬-৩৬টি আসন। বাকিদের ভাগ্যে থাকতে পারে বড়জোড় ১-৩টি আসন। এর আগে ২০১৮ সালেও প্রায় একই রকম ফলাফল চোখে পড়েছিল। বিজেপির ঝুলিতে আসে ১০৪টি আসন। কংগ্রেস পায় ৮০ এবং জনতা দল (সেকুলার) ৩৭টি আসন।
advertisement
একই ভাবে শতাংশের হিসেবে দেখলে বিজেপি-র পাওয়ার কথা ৪২ শতাংশ, কংগ্রেসের ৪০ শতাংশ, জনতা দলের (সেকুলার) ১৫ শতাংশ এবং বাকিদের ৩ শতাংশ। লিঙ্গায়ত সম্প্রদায় ৬৬ শতাংশ সমর্থনের হাত বাড়াতে পারে গেরুয়া শিবিরে, কংগ্রেসে এবং জনতা দলে (সেকুলার) তাঁদের সমর্থনের অনুপাত হতে পরে যথাক্রমে ১৬ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ। ঠিক সেরকমই বোকালিগা সম্প্রদায়ের দিক থেকে ৫২ শতাংশ ভোট পেতে পারে জনতা দল (সেকুলার), ২৮ শতাংশ কংগ্রেস এবং ৪ শতাংশ অন্যরা।
সমীক্ষা মোতাবেকে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের হাওয়া ঘুরিয়ে দিতে পারে। ৩৪ শতাংশ এই মর্মেই সায় দিয়েছে, ২২ শতাংশ পোষণ করেছে ভিন্নমত। অন্য দিকে, রাহুল গান্ধি ভারত জোড়ো যোজনার দৌলতে সাফল্য পেতেও পারেন বলে অভিমত পোলের। সমীক্ষা অনুযায়ী, নির্বাচনে জিতে বিজেপি-র বাসবরাজ বোম্মাই মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারেন। এই মর্মে জনতার রায় ২৮ শতাংশ। এর পরে যথাক্রমে এগিয়ে থাকছেন ২৪ শতাংশ জনমতে সিদ্দারামাইয়া, ১১ শতাংশে কুমারস্বামী।
ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী, জনতার ৩০ শতাংশ বোম্মাইয়ের কাজে ভীষণভাবেই সন্তুষ্ট, ৪১ শতাংশ মোটামুটি ভাবে সন্তুষ্ট, ২৯ শতাংশের মত যদিও বিপরীত। পোলের মত এও বলছে যে মল্লিকার্জুন খড়গের প্রধানমন্ত্রীকে 'বিষধর সাপ' কাটাক্ষই নির্বাচনে বিজেপি-কে সুবিধা করে দিতে চলেছে। ৫৬ শতাংশ সেই মর্মেই রায় দিয়েছে, ৩২ শতাংশ বলেছে যে কংগ্রেসের ক্ষতির আশঙ্কা নেই, ১২ শতাংশ কোনও অভিমতে আসতে পারেনি।
সমীক্ষায়, ৬২ শতাংশেরই অভিমত ভারত জোড়ো যাত্রার জেরে রাহুল গান্ধি প্রত্যাশিত ফল পাবেন না। কেবলমাত্র ১২ শতাংশ এর পক্ষে রায় দিয়েছে। ২৬ শতাংশের বক্তব্য, এর জেরে কংগ্রেসকে সামান্য কিছু সুবিধা দিলেও দিতে পারে।
আরও পড়ুন, স্ত্রী ছেলের সামনে মারধর, অপহরণ! বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত ময়না
আরও পড়ুন, প্রোমোটারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গন্ডগোল, তারপর যা যা হল যেন হিন্দি সিনেমা
৫৪ শতাংশেরই রায় বিজেপি এবং জনতা দল (সেকুলার) সম্মিলিত সরকার গঠন করতে পারে। অতীতে কংগ্রেস এবং জনতা দল (সেকুলার) সম্মিলিত সরকার গঠন করলেও এবারে এক্ষেত্রে আশা প্রকাশ মাত্র ২৮ শতাংশের।
প্রসঙ্গত, শহর এবং গ্রামাঞ্চলের ১.৮০ লক্ষ পুরুষ এবং ১.১২ লক্ষ নারী এই পোলে নিজেদের মত দিয়েছেন। এবার দেখার, তাঁদের অভিমত কতটা বাস্তবায়িত হয়।