মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় দীপ্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ কমল কিশোরের বড় ছেলে হরপ্রীত চৌরাসিয়ার সঙ্গে ২০১০ সালে বিয়ে হয়েছিল দীপ্তির৷ তাঁদের একটি ১৪ বছরের ছেলেও রয়েছে৷ সম্প্রতি হরপ্রীত দক্ষিণ ভারতীয় এক অভিনেত্রীকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন বলে খবর৷ স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর পাওয়ার পর মানসিক অবসাদ থেকেই দীপ্তি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে খবর৷
advertisement
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে৷ সেখানেও দীপ্তির স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে গিয়েছেন৷
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দীপ্তির দাদা ঋষভ অভিযোগ করেন, ওরা আমার বোনকে মারধর করত৷ আমার বোনের শাশুড়ি ওকে মারধর করত৷ আমরা বোনকে নিয়ে কলকাতা ফিরে এসেছিলাম৷ কিন্তু ওরা হাতজোড় করে বলেছিল আমার বোনকে মেয়ের মতো রাখবে৷ তার পরে ওরা বোনকে নিয়ে গিয়েছিল৷ তখন মামলাও চলেছিল৷ এর পরেও আমার বোনের উপরে অত্যাচার চলতে থাকে৷ আমার বোনের স্বামীও আবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল৷ আমার বোন ফোনে আমাদের সব জানাত৷ এই সমস্ত চাপে আমার বাবার ব্রেন স্ট্রোক হয়ে যায়৷ এত নির্যাতন সহ্য করতে করতে আমার বোন শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ আমার বোন আত্মহত্যা করেছে নাকি ওকে মেরে ফেলেছে আমি জানি না৷ আমার ভগ্নীপতিও আমার বোনকে মারধর করত৷ আমার বোনের স্বামী ওকে মারধরও করত৷
যদিও দীপ্তির ভাইয়ের সঙ্গে থাকা আইনজীবী দাবি করেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পর দুই পরিবারই একজোট হয়ে রয়েছে৷ বোনকে হারানোর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই দীপ্তির ভাই এই ধরনের অভিযোগ করছেন বলেও দাবি করেন তিনি৷
কমলা পসন্দ পান মশলার ব্যবসা কানপুর, দিল্লি, কলকাতা এবং মুম্বইয়ে ছড়িয়ে রয়েছে৷ কমলা পসন্দ সংস্থার মালিক কমল কিশোর চৌরাসিয়া৷ কানপুরের ফিল্ডখানা এলাকা থেকে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন কমল কান্ত চৌরাসিয়া৷ ৪০-৪৫ বছর আগে ছোট গুমটি দোকান থেকে খুচরো পান মশলা বিক্রি করতেন তিনি৷ সেখান থেকে শুরু করে আজ তাঁর সংস্থার কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন৷
