২০১৩ য় বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ, ২০১৪ সালের খাগরাগড় বিস্ফোরণেও যোগ ছিল এই হবিবুরের। বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা হবিবুর রহমান। শিমূলিয়া মাদ্রাসার দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। জঙ্গি সংগঠনে সদস্য নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণ, বিস্ফোরক তৈরি সহ সমস্ত কাজই দেখভাল করত হবিবুর।
সম্প্রতি খাগরাগড় কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃতদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই অবশেষে গ্রেফতার হবিবুর।
advertisement
ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃত হবিবুরকে কলকাতায় আনছে এনআইএ।
অন্যদিকে সোমবার, নব্য জামাত জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেফতার হয় চারজন। সোমবার রাতে শিয়ালদহ থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার সকালে হাওড়া থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মহম্মদ জিয়াউর রহমান, মামুন-উর রশিদ, মহম্মদ সাহিন আলম বাংলাদেশের নাগরিক। এই তিনজনকে আশ্রয় দিয়েছিল বীরভূমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম।
ধৃতদের ল্যাপটপ ও মোবাইল থেকে মিলেছে বেশ কিছু পোস্টার, আইএস সংক্রান্ত নথি, বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও। পুলিশের দাবি, বাজেয়াপ্ত নথি থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে। জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও টাকা যোগাড়ের জন্য নিযুক্ত ছিল তারা। বীরভূমে রবিউলের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় তিন জঙ্গি। রাজমিস্ত্রীর কাজ করত এই রবিউল। ধৃতদের নয় জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।