দেশের বাকি অংশের সঙ্গে মণিপুরের রাজধানী শহর ইম্ফলকে সংযুক্ত করার জন্য এই নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্পের কাজ অন্যান্য সংযোগী প্রকল্পের পাশাপাশি জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। জিরিবাম-ইম্ফল প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে ৯৩.৩০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।জিরিবাম-ইম্ফল রেলওয়ে লাইন নির্মাণ প্রকল্পে কঠিন ভূখণ্ডের মধ্যে একাধিক সুড়ঙ্গ ও সেতু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ১১১ কিলোমিটারেরও অধিক দৈর্ঘ্যে প্রসারিত।
advertisement
এই প্রকল্পে সুড়ঙ্গের মোট দৈর্ঘ্য ৬১.৩২ কিমি, যার মধ্যে ৫৯.১১ কিমি সুড়ঙ্গের কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। এই প্রকল্পে মোট ১১টি বড় ব্রিজ এবং ১৩৭টি ছোট সেতু আছে, যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫টি মেজর ব্রিজ ও ১০১টি মাইনর ব্রিজের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৪১ মিটার উচ্চতার পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভের রেলওয়ে ব্রিজ এই প্রকল্পে নির্মাণ করা হয়েছে এবং সেটি সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।
আরও পড়ুন : আরও প্রশস্ত হল পুরীতে বঙ্গভবন তৈরির কাজ
ট্রেন পরিষেবার জন্য জিরিবাম থেকে খংসং পর্যন্ত সেকশনটি ইতিমধ্যে চালু হয়ে গেছে। স্থলপথ দিয়ে জিরিবাম থেকে ইম্ফল যাওয়ার জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন। এই সমগ্র প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর রেলওয়ের মাধ্যমে এই দূরত্ব ২.৫ ঘণ্টায় হ্রাস পাবে। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও রূপায়ণের পথে অন্যান্য বাধা মোকাবিলা করে এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজেদের প্রচেষ্টা-সহ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত ও পুজো কবে? জানুন এই পুজোর দিনক্ষণ ও রীতি
এই নতুন রেল প্রকল্পটি মণিপুরের জনগণকে উন্নত সংযোগের সুবিধে দেবে। এই অঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগ বিকাশে সহায়ক হবে এবং রাজ্যটির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এছাড়াও এই রেললাইনের মাধ্যমে রাজ্যটি দ্রুতগতিতে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী গ্রহণ করতে পারবে এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী রাজ্যের বাইরে দ্রুতগতিতে নিয়ে যেতে পারবেন। রাজ্যটির অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।