দুপুর তিনটে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়। এদিন দুপুর তিনটের পর বিধানসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করেন জহর সরকার। বিধানসভার সচিব জহর সরকারের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন। রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন জহর সরকার। বাদল অধিবেশনেই রাজ্যসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। এর আগে, বুধবার বিধানসভার সচিবের ঘরে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রাক্তন আইএএস ও প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও। সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ।
advertisement
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রাক্তন বাঙালি আইএএস আধিকারিক জানান, “কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি, সমালোচনার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেলাম। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা এবার তাঁকে সামনে পাব।” একইসঙ্গে এদিন ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার নিন্দাও করেন জহর সরকার। অনুষ্ঠানকিভাবে শংসাপত্র হাতে পেলেও জহরবাবু কবে রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নেবেন তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার (Rajya Sabha MP) এই আসনটি ছেড়েছিলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। তার পর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল আসনটি। মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা (Mamata Banerjee)। বিশেষ করে ভেসে আসছিল যশবন্ত সিনহার নাম। বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কঠিন সময়ে মমতার পাশে ছিলেন। একুশের বিধানসভার আগে এরাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। লড়াইয়ে ছিলেন সদ্য তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়ও (Mukul Roy)। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইওকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল। কিন্তু তার বিরোধিতায় বিজেপি কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় কোনওরকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই এই পদে জয়লাভ করলেন জহর সরকার।
অরূপ দত্ত