জানা যায়, বিজয়ওয়াড়া থেকে আসছিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসটি। পুরাতচি থালাইভার ডাঃ এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাত্রীদের নামানোর পর বাসিন ব্রিজ ইয়ার্ডে ওয়ার্কশপে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সেইসময়ই ট্রেনের সামনের দুটি চাকা বেলাইন হয়। ঘটনাটি ঘটে বেলা ১২টা নাগাদ। সেই সময় ট্রেনে কোনও যাত্রী ছিলেন না। ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ট্রেনের চাকা ফের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা হয়। রেল সূত্রে জানাও হয়েছে, এই দুর্ঘটনার জেরে কোনও মেনলাইন রেল পরিষেবা ব্যহত হয়নি। লোকো পাইলট ও রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে রেল পুলিশ।
advertisement
বৃহস্পতিবার আরেকটি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। রাত ১০ টা ৭ মিনিটে ওড়িশার নুয়াপাড়ায় খারিয়ার রোড স্টেশনের কাছে ডাউন দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসের এসি কোচের নিচে আচমকাই আগুন দেখা যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় বি-থ্রি কোচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনের চেন টানার পর ব্রেক ঠিকমতো কাজ করেনি। ব্রেক প্য়াডের সংঘর্ষের জেরেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোচের মধ্যে আগুন সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি বলেই রেল সূত্রে খবর। ফলে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন যাত্রীরা। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
৯ জুন আরও একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় রেল। লাইনের উপর পড়ে ছিল নারকেল গাছের গুঁড়ি। দূর থেকে দেখতে পেয়েই ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। তাতেই রক্ষা। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তিরুনিন্দ্রাভুরের। চালক সময়মতো ব্রেক কষেছিলেন বলেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা। ট্রেন থামিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিশকে খবর দেন চালক। রেললাইনের উপর গাছের গুঁড়ি কোথা থেকে এল! রেল আধিকারিক ও রেল পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তখনই জানা যায়, স্থানীয় এক ব্যক্তি বাড়ির নারকেল গাছ কেটে লাইনের ধারে ফেলে গিয়েছিলেন।