বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির মন্তব্য, গণতন্ত্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে না, যেখানে আদালত রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেয়। ধনখড়ের এহেন মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায়ের কয়েক দিন পরেই, যেখানে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের আইন প্রণয়নের জন্য সম্মতি দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনও বদল নয়! বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, আপাতত বোর্ডে নিয়োগও নয়
advertisement
রাজ্যসভার ৬ষ্ঠ ব্যাচের ইন্টার্নদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধনখড় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক যশবন্ত বর্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার নিয়ে বিচার বিভাগের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন।
ধনখড় বলেন, “১৪ এবং ১৫ মার্চ রাতে একটি ঘটনা ঘটেছিল নয়াদিল্লিতে, একজন বিচারকের বাসভবনে। সাত দিন ধরে, কেউ এ সম্পর্কে জানত না। আমাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে হবে। এই বিলম্ব কি ব্যাখ্যাযোগ্য? ক্ষমাযোগ্য? এটি কি কিছু মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে না? এই ঘটনায় সারা দেশের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল আইনসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে ঐতিহাসিক মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনসভা থেকে পাশ হয়ে আসা বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারেন না রাষ্ট্রপতি। তিনমাসের মধ্যে তাঁকে মতামত জানিয়ে দিতে হবে। রাজ্যপালদের জন্যও ওই একই নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যপালের কাছ থেকে আসা বিলে তিনমাসের মধ্যে মতামত জানিয়ে দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। যদি তিনমাসের মধ্যে তা সম্ভব না হয়, তাহলে দেরি হওয়ার যথাযথ কারণ জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে।
এরপরই ধনখড় ফুঁসে উঠলেন। তিনি বলেন, ”কোন পথে এগোচ্ছে আমাদের দেশ। এ দেশে হচ্ছেটা কী? আমরা গণতন্ত্রের সঙ্গে কোনওদিন আপস করিনি। আজকের দিনটা দেখার জন্য তো এত সংগ্রাম করিনি। এখন দেখা যাচ্ছে, ভারতের রাষ্ট্রপতিকেও একটা বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এটা তো আর সামান্য কিছু নিয়ে মতামত দেওয়া নয়। এখানে বলা হচ্ছে, সময়মতো সিদ্ধান্ত না নিলে বিল আইনে পরিণত হবে।”