রাজনাথ বলেন, 'আমাদের দল কোনও বিধায়ক বা সাংসদের উপর চাপ সৃষ্টি করেনি৷ ইস্তফার হিড়িক শুরু করেছেন রাহুল গান্ধি৷' যদিও বিরোধীদের দাবি, বিজেপি-ই বিধায়ক কেনা শুরু করে কর্নাটকে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে৷ জেডিএস-ও অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি-র দিকে৷ কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পার কথায়, 'ধৈর্য ধরে দেখা যাক৷ আমরা তো আর সন্ন্যাসী নই৷ ইস্তফা প্রক্রিয়া মিটুক, স্পিকার সিদ্ধান্ত নিক, তারপর আমাদের দল ও নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷'
advertisement
ইতিমধ্যেই কর্নাটকে আরও সঙ্কটে কুমারস্বামী সরকার। ইস্তফা দিয়েছেন সব কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে বাড়ল ১৩ মাসের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের সঙ্কট। এদিনই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ। এক মাস আগেই মন্ত্রী হয়ে শপথ নেন তিনি। ইস্তফার পর বিজেপিকে সমর্থন করার ইঙ্গিতও দেন নাগেশ।
এর আগে বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রামলিঙ্গা রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। পরিস্থিতি নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের সঙ্গেও কথা বলেন কুমারস্বামী। এদিকে মঙ্গলবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে কুমারস্বামীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিজেপি।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, নতুন করে মন্ত্রিসভা তৈরি হবে৷
সরকারে কোনও সমস্যা নেই বলে দাবি সব জট তাড়াতাড়ি কেটে যাবে বলে আশাবাদী৷