তবে, সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাক্সের উপর লাগানো স্টিকার। তাদের মধ্যে একটিতে লেখা ছিল ‘মানব দেহাবশেষ’ এবং অন্যটিতে লেখা ছিল ‘চরম ভারী’ এবং সঙ্গে একটি হাতির অ্যানিমেটেড ছবি ছিল।
advertisement
ওই শিপমেন্টে যথাযথ নথি এবং পাসপোর্টও ছিল। ছবির উপরে লেখা ছিল, ‘দিল্লি থেকে পটনা পর্যন্ত বিমানে মৃতদেহ।’ সংস্থাটি ইন্ডিগো এয়ারলাইনসকেও ট্যাগ করেছে এবং ছবির সঙ্গে সংযুক্ত একটি নোটে ভদ্র কিন্তু শক্তিশালী পরামর্শ দিয়েছে। এতে লেখা ছিল, ‘শুনতে হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু ইন্ডিগো, মানব দেহাবশেষ পরিবহনের জন্য হাতির ‘এক্সট্রিম হেভি’ স্টিকারটি পরিবর্তন করতে পারেন। শুধুমাত্র যিনি চলে গিয়েছেন তাঁর সম্মানের জন্য।’
ইন্টারনেটও প্রতিক্রিয়া সোচ্চার
পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং হাজার হাজার মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। অনেকেই বলেছেন যে বিমান সংস্থাটি সম্ভবত কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা পোষণ করেনি, আবার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে এটি কীভাবে মৃত ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক হতে পারে! একজন ইউজার লিখেছেন, “আমার মনে হয় না যে মৃতদেহ ফ্লাইটে নিয়মিত পাঠানো হয়। দ্বিতীয়ত, হাতির স্টিকারটি কর্মীদের তাদের পিঠে চাপ না বাড়িয়ে সাবধানতার সঙ্গে তোলার ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তা নয়।”
‘গোপনীয়তার স্পষ্ট লঙ্ঘন’
আরেকজন যোগ করেছেন, ‘স্টিকারটি কার্গো পরিচালনাকারী কর্মীদের জন্য।’ অন্যজন বলেছেন, ‘আমি কোনও সমস্যা দেখছি না!’ এই সবপ্রতিক্রিয়ার মাঝেই একজন ইউজার উল্লেখ করেছেন, ‘এডব্লিউবি দৃশ্যমান এবং অনুসন্ধানযোগ্য, মৃত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের জন্য গোপনীয়তার স্পষ্ট লঙ্ঘন, নীতিন চোপড়া, আপনার হ্যান্ডলার এবং গ্রাউন্ড এজেন্টদের ডেটা সুরক্ষার নিয়মগুলি জানা উচিত এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত!’ এখনও পর্যন্ত ইন্ডিগো ভাইরাল পোস্টটির বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেনি। তবে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে যে কীভাবে ছোট ছোট বিবরণ, এমনকি লেবেলিংও গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।