এই সেকশনের সফলভাবে সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে, মিজোরাম শীঘ্রই অসম, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশের পরে চতুর্থ উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিণত হবে যার রাজধানী রাষ্ট্রীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হবে। প্রকল্পটিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে: ভৈরবী-হরতকি (১৬.৭২ কিমি, জুলাই২০২৪-এ চালু), হরতকি-কাউনপুই (৯.৭১ কিমি), কাউনপুই-মুয়ালখাং (১২.১১ কিমি) এবং মুয়ালখাং-সাইরাং (১২.৮৪ কিমি)।
আরও পড়ুন পাঁকে পদ্মফুল! বাংলার জুনিয়র ফুটবলের উজ্জ্বল নাম সুরজ সরেন, টাকার অভাবে বন্ধ হবে না তো খেলা?
advertisement
প্রকল্পটির প্রকৌশলগত স্কেল উল্লেখযোগ্য। এখানে ১২,৮৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪৮টি টানেল,৫৫টি প্রধান ব্রিজ,৮৭টি ছোট ব্রিজ,৫টি রোড ওভার ব্রিজ (আরওবি) এবং ৬টি রোড আন্ডার ব্রিজ (আরইউবি) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখ্য কাঠামোর মধ্যে রয়েছে ব্রিজ নং. ১৯৬, (একটি রেল পিয়ার ব্রিজ), যা ১০৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, অর্থাৎ দিল্লির কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার উঁচু, যা মিজোরামের প্রত্যাহ্বানপূর্ণ ভূখণ্ড জয় করার জন্য প্রকৌশলগত উৎকৃষ্টতার প্রদর্শন।
এই রুটে একটি সফল ট্রায়াল রান ইতিমধ্যেই ১ মে ২০২৫ তারিখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (নির্মাণ)-এর উপস্থিতিতে কর হয়, যা আইজলের রেল সংযোগ যাত্রার জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি ৯৪.৫২% ভৌত অগ্রগতি অর্জন করা হয়েছে,যা অপারেশনাল প্রস্তুতির দিকে নিরন্তর অগ্রগতির প্রতিফলন।
ভৈরবী-সাইরাং রেলপথটি চালু হওয়ার পর মিজোরামের জন্য এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। উন্নত সংযোগ ব্যবস্থার ফলে প্রয়োজনীয় সরবরাহের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, দূরপাল্লার ভ্রমণ (যাত্রী ও মালবাহী উভয়) বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এই লাইনটি স্থানীয় পর্যটন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র শিল্পকে প্রোৎসাহিত করা এবং সমগ্র অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যও আশা করা হচ্ছে। সিআরএস পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় সেফটি ক্লিয়ারেঞ্চ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, নতুন লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্ভবত ১৭ জুন ২০২৫ তারিখের পরে হবে। মিজোরাম এবং বৃহত্তর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণের জন্য এই রূপান্তরমূলক প্রকল্পটি দ্রুত চালু করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।