পাঁচ বছর পর ফের সীমান্তে উত্তেজনার পারদ চড়ছে৷ পহলগাঁও হামলার পর ফের ভারত ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো বড় কিছু ঘটাতে চলেছে কি না, তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে৷ তবে এবার আর মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান নয়, আকাশপথে শত্রুপক্ষকে ধ্বংস করার জন্য ভারতের হাতে রয়েছে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান৷
২০২০ সাল থেকেই ফ্রান্সের থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে শুরু করে ভারত৷ ভারতের হাতে থাকা ৩৬টি রাফাল এই মুহূর্তে দুটি স্কোয়াড্রোনে ভাগ করে রাকা রয়েছে হরিয়ানার আম্বালা এবং পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়৷
advertisement
প্রসঙ্গত, বালাকোট হামলার পরই রাফালের মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ভারত৷ মূলত পাকিস্তানের কাছে থাকা এফ ১৬ যুদ্ধবিমানকে টক্কর দিতেই এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়৷ ৩৬টি রাফাল হাতে আসায় এশিয়া উপমহাদেশে বায়ুসেনার শক্তির দিক থেকে ভারত অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে৷
পাকিস্তানের বালাকোটে মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত৷ গুড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি৷ পরের দিন ভারতের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে পাকিস্তানের কয়েকটি এফ ১৬ যুদ্ধবিমান৷ সেগুলিকে ধাওয়া করে ভারতীয় যুদ্ধবিমান৷ ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান একটি পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের পিছু নেন৷ মিসাইল ছুড়ে সেটিকে ধ্বংসও করেন তিনি৷
যদিও পাল্টা শত্রুপক্ষের ছোড়া মিসাইল এসে লাগে অভিনন্দনের যুদ্ধবিমানেও৷ বাধ্য হয়ে প্যারাশ্যুটে করে অবতরণ করার সময় পাক ভূখণ্ডে গিয়ে পড়েন ওই বায়ুসেনা অফিসার৷ তাঁকে বন্দি করে পাকিস্তানের বায়ুসেনা৷ বেশ কিছুদিন টানাপোড়েনের পর অবশেষে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত৷ কিছুদিনের মধ্যেই ভারতের হাতে আসবে ২৬টি রাফাল এম(মেরিন) যুদ্ধবিমান৷ সেগুলি মূলত আইএনএস বিক্রান্ত এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্যের মতো যুদ্ধবিমান বহনকারী রণতরীর উপরে মোতায়েন করা থাকবে৷