৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে ভারত পাকিস্তান ও পিওকে-তে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সংহতি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারে ব্রহ্মোস মিসাইল আছড়ে পড়লে কী হবে! উত্তর জানলে চমকে উঠবেন…
আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, পাহেলগামের হামলার পর তুরস্কের সি-১৩০ হেরকিউলিস ট্রান্সপোর্ট বিমান একাধিকবার অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল। এমনকি তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ করাচিতে পৌঁছায়। তুরস্ক ও পাকিস্তান এক ইসলামিক ভূ-রাজনৈতিক জোট গড়তে আগ্রহী। এরদোয়ান নিজেকে মুসলিম উম্মাহর নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চান। ফলে কাশ্মীর ইস্যুতেও তুরস্ক বরাবর পাকিস্তানের পাশে থেকেছে।
advertisement
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে তুরস্ক পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে তুরস্কের সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা ASFAT-এর সঙ্গে পাকিস্তান ১.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। এতে চারটি MILGEM যুদ্ধজাহাজ সরবরাহের শর্ত ছিল।
আরও পড়ুন: সামরিক শক্তির দিক থেকে পাকিস্তানের থেকে কতটা এগিয়ে ভারত! জানুন ২ দেশের শক্তির তুলনা…
অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত বন্ধুত্ব দৃঢ় করতে গ্রীস, সাইপ্রাস ও আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। গ্রীস কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। ভারত বর্তমানে আর্মেনিয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। যেখানে তুরস্ক ও পাকিস্তান আজারবাইজানের পাশে থেকেছে, ভারত আর্মেনিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে জোরালো বার্তা দিয়েছে।
তবে তুরস্কের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উভয় দেশের মধ্যে ১৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ৩.৩ লক্ষ ভারতীয় পর্যটক তুরস্ক সফর করেছেন।
তবে পাকিস্তান-তুরস্কের ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা উভয় দিক থেকেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।