ছোট্ট এই গাড়ির সঙ্গে অবশ্য বিরাট ইতিহাসও জড়িয়ে আছে৷ প্রায় চল্লিশ বছর পর আবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির জন্য ব্যবহার করা হল এই গাড়িটিকে৷ সাধারণত গত কয়েক বছর ধরে তাঁর জন্য বরাদ্দ অত্যাধুনিক লিমোজিনে চড়েই প্রজাতন্ত্র দিবসেরর অনুষ্ঠানে আসতেন রাষ্ট্রপতিরা৷
আরও পড়ুন: রবিবার ফের শপথ নিতে পারেন নীতীশ, সমর্থনের বিনিময়ে কী কী শর্ত দিল বিজেপি?
advertisement
ছটি ঘোড়া দিয়ে টানা কালো রংয়ের এই বাগির গায়ে অশোক চক্রের নকশা খোদাই করা হয়েছে৷ ভিতরে রয়েছে ভেলভেটে মোড়ানো বসার আসন৷ ব্রিটিশ আমলে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ ভাইস রয় এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন৷ তৎকালীন ভাইস রয়ের নিবাস, বর্তমানে যা রাষ্ট্রপতি ভবন বলে খ্যাত, তার চৌহদ্দিতে ঘোরাফেরার জন্য এই বাগি ব্যবহৃতহ হত৷ আবার বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানেও ব্যবহৃত হত এই বাগি৷
কিন্তু দেশ যখন ভাগ হল, তখন এই বাগির দিকে নজর ছিল ভারত- পাকিস্তান দু পক্ষেরই৷ কিন্তু বাগির মালিকানা শেষ পর্যন্ত কে পাবে, তা স্থির করতে অভিনব উপায় বের করে দুই দেশ৷ সিদ্ধান্ত হয়, যে টসে জিতবে, তাদের কাছেই থাকবে বাগি৷৷
শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষে কর্নেল ঠাকুর গোবিন্দ সিং এবং পাকিস্তানের শাহবজাদা ইয়াকুব খান টসে অংশ নেন৷ ওই টসে জেতেন ভারতের কর্নেল ঠাকুর গোবিন্দ সিং৷ ফলে পাকাপাকি ভাবে বাগি ভারতের হয়ে যায়৷
তার পর থেকে এই ঘোড়ায় টানা গাড়ি চড়েই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে সংসদে গিয়ে শপথ নিতেন রাষ্ট্রপতি৷ আবার ২৯ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনের সমাপ্তিতে বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠানেও যেতেন রাষ্ট্রপতি৷
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণেই রাষ্ট্রপতির জন্য এই গাড়ির ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ তার বদলে নিয়ে আসা হয় বুলেট প্রুফ অত্যাধুনিক গাড়ি৷ তবে ২০১৪ সালে বিটিং রিট্রিটের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই বাগিতে চড়েই এসেছিলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷