এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনল ভারত৷ এ দিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের এয়ারস্পেস বা আকাশসীমা সাধারণ বিমানের জন্য খুলে রেখেছে পাকিস্তান৷ যদিও ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ধোনি, কপিল দেবরা এই বাহিনীর অফিসার! টেরিটোরিয়াল আর্মি কারা, যুদ্ধক্ষেত্রে কি ডাক পড়বে?
ভারতীয় সেনা এবং বিদেশমন্ত্রকের অভিযোগ, আকাশসীমা খুলে রেখে যাত্রীবাহী বিমানগুলিকে আসলে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান৷ কারণ, পাকিস্তানের আকাশসীমা খোলা থাকলে ভারত ড্রোন, মিসাইল হানার জবাব দিতে গিয়ে বাধা পাবে৷ আর কোনও ভাবে পাকিস্তানের হামলার জবাব দিতে গিয়ে ভারতের ছোড়া মিসাইল কোনও সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানকে ধ্বংস করে দিলে তার পুরো দায় গিয়ে পড়ত ভারতীয় বায়ুসেনার উপরে৷
এমন কি, পাকিস্তানের অন্তর্দেশীয় তো বটেই, ওই সময় আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্যও আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি পাক আকাশসীমা খুলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ যদিও বিপদ আন্দাজ করে আগে থেকেই নিজেদের দিকের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছিল ভারত৷ নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এ দিন তথ্যপ্রমাণও দেখিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷
অপারেশন সিঁদুরের ঠিক পরের দিন রাতে গত ৭ মে সাড়ে আটটা নাগাদ ভারতকে লক্ষ্য করে মিসাইল এবং ড্রোন হামলা শুরু করে পাকিস্তান৷ ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তান ভাল ভাবেই জানত যে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার যথাযোগ্য জবাব দেবে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷ তা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিজেদের এয়ারস্পেস বন্ধ করেনি তারা৷ গত ৭ মে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ড্রোন এবং মিসাইল হামলা চালায় পাকিস্তান৷ ওই সময় করাচি থেকে লাহোরের মধ্যের এয়ারস্পেস খুলে রাখা হয়েছিল৷ ফলে ওই সময়ের মধ্যে বেশকিছু যাত্রীবাহী বিমান ওই আকাশপথ ব্যবহার করছিল৷ ভারত সেই সময় জবাব দিলে ওই বিমানগুলির ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল৷ এর মধ্যে নির্দিষ্ট করে একটি এয়ারবাস ৩২০ মডেলের বিমানও ছিল৷ যদিও ভারতীয় বায়ুসেনার নজরে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং বিমানযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় বায়ুসেনা যথেষ্ট সংযম দেখায়৷’
ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে এ দিন দাবি করা হয়েছে ৮ এবং ৯ মে-র রাতের মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ৩৬টি জায়গা দিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান৷ যদিও সেই সমস্ত ড্রোনই ধ্বংস করেছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম৷