সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কর ফাঁকি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে অনিয়ম নিয়ে বিবিসি-র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সূত্র ধরেই সংস্থার দফতরে হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন: 'ত্রিপুরার মানুষকে একটাই কথা বলব...' প্রচারের শেষ অধ্যায়ে বিরাট বার্তা মোদির
জানা গিয়েছে, বিবিসি-র দিল্লি দফতরে আয়কর দফতরের ২০ জনের একটি দল হানা দিয়েছে৷ অন্যদিকে, বিবিসি-র মুম্বইয়ের স্টুডিওতেও হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা৷
advertisement
তল্লাশি চলাকালীন বিবিসি-র সাংবাদিকদের ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন নিজেদের হেফজাতে নি়য়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা৷ তল্লাশি চলাকালীন এই দু'টি অফিসই সিল করা থাকবে৷ তল্লাশি সম্পর্কে কোনও তথ্য কাউকে না জানানোর জন্যও বিবিসি-র কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আয়কর দফতরের কর্তারা অবশ্য একে তল্লাশি অভিযান বলছেন না৷ তাঁদের দাবি, এটি একটি সমীক্ষা৷ সাংবাদিকদের ফোন, ল্যাপটপও ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷
আয়কর দফতরের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে, 'আমাদের কয়েকটি তথ্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া দরকার ছিল৷ সেই কারণেই আমাদের দল বিবিসি-র দফতরে সমীক্ষা চালাচ্ছে৷ তাঁরা হিসেবনিকেশ পরীক্ষা করে দেখবেন৷ তবে এটি তল্লাশি অভিযান নয়৷'
সূত্রের খবর, বিবিসি-র ফিনান্স দফতরের থেকে লেনদেনের হিসেব এবং অক্যাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন আধিকারিকরা৷
সম্প্রতি গুজরাত হিংসা এবং তাতে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাকে নিয়ে বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রকে নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়৷ ওই তথ্যচিত্রে যা দাবি করা হয়েছে, তা অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র৷ তার পরেই বিবিসি দফতরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যাওয়ায় এই পদক্ষেপ ঘিরেও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷
কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, যেহেতু বিবিসি-র তথ্যচিত্রে যেহেতু গুজরাত হিংসার জন্য নরেন্দ্র মোদির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে, সেই কারণেই এবার বিবিসি-কে নিশানা করছে মোদি সরকার৷