আরও পড়ুন- পেটের মধ্যে কাঁচি রেখেই সেলাই করে দিলেন চিকিৎসকরা! কী হল রোগীর, দেখুন ছবিতে
“কোনও ভাষা শিখে তারপরই নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করার কোনও বাধ্যতামূলক পরিস্থিতি নেই। কর্মসংস্থান বা জীবিকার সমস্যার ক্ষেত্রে যে কেউ হিন্দি বা যে কোনও ভাষা শিখতে পারে,” বলেন কে আন্নামালাই। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আশা করেছিলেন যে সবাই তাঁদের আঞ্চলিক ভাষা শিখবে।
advertisement
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণের দাবি, “কোনও ভাষাকে ঘৃণা করার দরকার নেই তবে হিন্দি বা কোনও ভাষা দিয়ে তামিলকে প্রতিস্থাপন করা গ্রহণযোগ্য নয়।” বুধবার পিটিআইকে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন (২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি) যে তামিল সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা এবং এটি সংস্কৃতের চেয়েও পুরনো এবং সুন্দর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, ইংরেজি শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য সর্বজনীন পছন্দের ভাষা।
আরও পড়ুন- মূল্যবান সরকারি নেকলেস ১৮ কোটি টাকায় বেচে দিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান
একই সুর কে আন্নামালাইয়ের গলাতেও। তিনি জানান, কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে হিন্দি ঐচ্ছিক বিষয়। “কেউ যে কোনও আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনা করতে পারে। আমাদের সবচেয়ে বড় গর্ব হবে যখন তামিলকে দেশের সংযোগরক্ষাকারী ভাষা করা হবে,” বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। “আমি হিন্দি জানি না। আমি জানি না এখানে আমাদের মধ্যে কতজন সেই ভাষা জানি। আমরা শিক্ষা, চাকরি বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে হিন্দি শিখতে পারি, কিন্তু এটা চাপিয়ে দেওয়া যায় না,” বলেন প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার৷
“তামিল আমাদের মাতৃভাষা এবং আমরা ভাষার ইস্যুতে আপস করতে পারি না। তবে, কোনও ভাষা শেখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই,” বলেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কারু নাগরাজন৷ অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিন্দি ইংরেজির বিকল্প হতে পারে এবং হিন্দি দেশের সরকারি ভাষা হতে পারে।