TRENDING:

‘একটা কেউ চটি দিন, রক্তমাখা খালি পায়ে আর হাঁটতে পারছি না’

Last Updated:

ত্রিলোক কুমার পরিযায়ী শ্রমিক ৷ গোরখপুর থেকে গুজরাটে গিয়ে কাজ করত সে ৷ করোনার লকডাউনে আজ কাজ তো বন্ধ ৷ কিন্তু কতদিন আর অন্য জায়গায় বন্দি হয়ে থাকা যায়৷ শ্রমিক ট্রেনে নামও লিখিয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁর নাম ডাকা হয়নি ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#লখনউ: রক্ত থামতেই চাইছে না ৷ ঝরেই যাচ্ছে ৷ হাতে রাখা আধা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রক্তমাখা পা মুছে নিলে চোখে পড়ছে বড় বড় ফোস্কা ও কাঁটা-ছেঁড়া ৷ ব্যথাটাকে যেন সহ্য করে নিয়েছে গোরখপুরের বাসিন্দা ত্রিলোক কুমার ৷ বয়স ৩২ হলেও, ক্লান্তি মাখা মুখে বয়স বোঝা দায় ৷ যখনই সুযোগ পাচ্ছেন ত্রিলোক, গাছের তলায় একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন ৷ জল খাচ্ছেন ৷ কাঁধের ব্যাগ থেকে কখনও বিস্কুট, মুড়ি, চিঁড়ে বার করে গালে ফেলছেন ৷ তারপর ফের যাত্রা শুরু ৷
advertisement

ত্রিলোক কুমার পরিযায়ী শ্রমিক ৷ গোরখপুর থেকে গুজরাটে গিয়ে কাজ করতেন ৷ করোনার লকডাউনে আজ কাজ তো বন্ধ ৷ কিন্তু কতদিন আর অন্য জায়গায় বন্দি হয়ে থাকা যায়৷ শ্রমিক ট্রেনে নামও লিখিয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁর নাম ডাকা হয়নি ৷ তাই নিরুপায় হয়েই গুজরাট থেকে রাজপথ ধরেই হাঁটা দিলেন গোরখপুরে তাঁর বাড়ির উদ্দ্যেশে ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

সংবাদমাধ্যকে ত্রিলোক জানিয়েছেন, ‘আমার পায়ে ফোস্কা পড়েছে, রক্ত বের হচ্ছে ৷ তবুও আমাকে হাঁটতে হবে এখনও প্রায় ৩০০ কিমি ৷ তবে খাওয়া-দাওয়া পাচ্ছি ৷ রাস্তায় অনেকেই খাওয়া-দাওয়া দিচ্ছে, কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমার ছেঁড়া চটি ৷ কেউ যদি একটা পুরনো চপ্পলও দিত, তাহলে অন্তত, বাকি পথটা হেঁটে দিতাম ৷ জানি না এই রক্তাক্ত পা নিয়ে কতদূর হাঁটতে পারব !’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
‘একটা কেউ চটি দিন, রক্তমাখা খালি পায়ে আর হাঁটতে পারছি না’
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল