নানা ভাবে সাতবছর ধরে টালবাহানা করে দণ্ডাদেশ পিছিয়ে দিয়েছিল নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীরা। ফাঁসির আগের রাতেও তাঁদের আইনজীবী পৌছে গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দরজায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এল সেই মুহূর্ত, যার জন্য লক্ষ বিচারপ্রার্থী অপেক্ষা করেছিলেন। কেমন কাটিয়েছেন শেষ এক ঘণ্টা তাঁরা?
ভোর চারটে- নিজেদের সেলে জেগেই ছিলেন নির্ভয়া কাণ্ডের চার আসামী। তাঁদেরকে স্নান সারতে পাঠানো হয়।
advertisement
৪.১৫- প্রার্থণা,পুজোপাঠের সময়। কিন্তু এই মুকেশ, বিনয়রা তাতে অংশ নিতে চাননি।
৪.৩০- ওই চার অপরাধীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট আরও একবার খতিয়ে দেখেন ফাঁসির কোন স্থগিতাদেশ এল কিনা।
৫.২০- সুতির কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে নির্ভয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসিকুঠিতে নিয়ে যাওয়া হয়। কড়া নজরদারি ছিল গোটা জেলে যাতে অন্য অপরাধীরা সেল থেকে না বেরোতে পারে কোনও মতেই।
৫.২৫- নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিতের শেষ ইচ্ছে জানতে চান জেলাশাসক। তারপর তাঁদের মৃত্যু পরোয়নায় সই করেন তিনি। জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, এবং একজন মেডিক্যাল অফিসার সে সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন।
৫.৩০- অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে তিহার জেলের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ গোয়ে সংবাদমাধ্যমকে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা জানান। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়।