চার ধাপে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩। বিকেল ৫.৪৫ মিনিটে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। এই চার ধাপ হল – রাফ ব্রেকিং ফেজ, অলটিটিউড হোল্ড ফেজ, ফাইন ব্রেকিং ফেজ এবং টার্মিনাল ডিসেন্ট ফেজ। এই ১৫ মিনিটের উত্তেজনা টি টোয়েন্টি ম্যাচের চেয়ে কোনও অংশে কম হবে না।
আরও পড়ুন- কোচ রক্ষণাবেক্ষণে নয়া ব্যবস্থা ভারতীয় রেলে
advertisement
চার ধাপে অবতরণ: ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ৯ অগাস্ট এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘চন্দ্রযান ৩ বর্তমানে ৯০ ডিগ্রি হেলে আছে। ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় যখন অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন একে উল্লম্ব অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। না হলে ল্যান্ডিং করতে পারবে না। গতবার চন্দ্রযান ২-এ এই সমস্যা হয়েছিল’।
ল্যান্ডারের অবতরণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ‘রাফ ব্রেকিং ফেজ’। এই ধাপ শেষ করতে ৬৯০ সেকেন্ড সময় লাগবে। এই পর্যায়ে ল্যান্ডারটি প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিমি গতিতে চন্দ্র পৃষ্ঠে নামতে শুরু করবে। অতিক্রম করবে ৩৫৮ মিটার পথ।
ল্যান্ডারের গতি কমাতে ৪০০ নিউটনের ৪টি ইঞ্জিন ফায়ার করা হবে। ৬৯০ সেকেন্ডের মধ্যে চন্দ্রযান অতিক্রম করবে ৭৪৫ কিমি দূরত্ব। চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৭.৪ কিমি উচ্চতায় অবস্থান করবে চন্দ্রযান ৩।
অলটিটিউড হোল্ড ফেজ: দ্বিতীয় পর্যায় হল, অলটিটিউড হোল্ড ফেজ। চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭.৪ কিলোমিটার উচ্চতায় শুরু হবে। এই পর্যায়ে, প্রায় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ল্যান্ডারের উচ্চতা ৬.৮ কিলোমিটারে নেমে আসবে। এই সময় গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ৩৩৬ মিটার। এই পর্যায়ে, ৭৪০ নিউটনের সমান ৪টি ইঞ্জিন ফায়ার করা হবে।
তৃতীয় পর্বটি হবে ফাইন ব্রেকিং ফেজ। এই পর্যায়ে, ল্যান্ডারটি ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছবে। এই পর্যায় শেষ করতে সময় লাগবে ১৭৫ সেকেন্ড।
আরও পড়ুন- অতিপ্রবল বৃষ্টিপাতে ভাসবে রাজ্য…! আগামী পাঁচদিন তুমুল তাণ্ডব চালাবে বর্ষা
এই পর্যায়ে ল্যান্ডারের গতি থাকবে শূন্য। ল্যান্ডারের সেন্সরগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে অবতরণ স্থানটি পরিদর্শন করে দেখবে যে সেটা নামার জন্য উপযুক্ত কি না।
এই সময় ল্যান্ডারের উচ্চতা ১৫০ মিটার। পরিস্থিতি অবতরণের অনুকূল না হলে ল্যান্ডারটি ১৫০ মিটার সরে যাবে। এটাই শেষ পর্যায় ‘টার্মিনাল ডিসেন্ট ফেজ’।
বিক্রম প্রথমে ১৫০ মিটার উচ্চতা থেকে ৬০ মিটার উচ্চতায় আসবে। তারপর সেখান থেকে ১০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছবে। চাঁদের পৃষ্ঠের উচ্চতা যখন ১০ মিটার হবে তখন শুরু হবে অবতরণ প্রক্রিয়া। এই সময় গতি হবে সেকেন্ডে ১ বা ২ মিটার। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময় ল্যান্ডারের ওজন থাকবে ৮০০ কেজি।