কর্নাটক সরকারে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে তাদের রাজ্যে HMPV আক্রান্ত ২ শিশুর সন্ধান মিলেছে৷ এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে৷ যদিও কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখনও সরকারি পরিকাঠামোয় ওই শিশুদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। তাদের দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা এনআইভি পুনায় পাঠানো হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে HMPV পজিটিভ বলে কনফার্ম করা হবে৷
advertisement
তবে চিনে যে HMPV জীবাণুর সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তার সঙ্গে বেঙ্গালুরুর আক্রান্ত শিশুদের দেহের ভাইরাস একই কিনা, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি৷ প্রসঙ্গত চিনে সম্প্রতি এই ভাইরাসের দাপট অব্যাহত৷ গত ৪ জানুয়ারি সম্ভাব্য মহামারির আশঙ্কা প্রশমিত করে চিন জানায়, বার্ষিক মরশুমি কারণেই বেড়েছে ভাইরাসের দাপট৷ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী করা হয় শীতের মরশুমকেই। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নাগরিক এবং পর্যটনদের আশ্বস্ত করা হয় যে চিন নিরাপদ। তার আগের দিন ৩ জানুয়ারি ভারতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয় এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও।
ডিরেক্টর জেনারেল অব হেল্থ সার্ভিসেস অতুল গোয়েল জানান হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের উপসর্গ সাধারণ সর্দিকাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। সাধারণত শিশু এবং বয়স্করাই এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন। যাঁরা ইতিমধ্যেই সর্দিকাশিতে আক্রান্ত, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা নিতে বলছেন অতুল। নজর রাখতে বলছেন যাতে সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়। মূল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অতুল।