হরিয়ানা সরকার আজ রবিবার ২ জানুয়ারি থেকে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের মাত্রাতিরিক্ত সংক্রামিত ৫ জেলার জন্য জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ-সহ ওই জেলাগুলিতে সিনেমা হল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল-সহ সমস্ত বিনোদনমূলক পার্ক বন্ধ রাখতে হবে। নৈশ কার্ফু জারি থাকবে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত।
advertisement
প্রশাসনের নির্দেশিকা এক নজরে...
*সিনেমা হল, থিয়েটার, মাল্টিপ্লেক্স বন্ধ থাকবে।
*স্পোর্টস কমপ্লেক্স, স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে।
*সমস্ত ধরনের বিনোদনমূলক পার্ক বন্ধ রাখতে হবে। ব্যবসায়িক স্বার্থে চালু B2B প্রদর্শনী বন্ধ।
*৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। তবে চালু থাকবে সমস্ত জরুরি পরিষেবা।
*শপিং মল এবং মার্কেট খোলা থাকবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
*বার এবং রেস্তোরাঁ খোলা যাবে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে।
*১০০জনের বেশি জমায়েত করতে হলে ডেপুটি কমিশনারের থেকে অনুমতি নিয়ে হবে।
*স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক, আইটিআই, কোচিং ইন্সটিটিউট, লাইব্রেরি, সরকারি এবং বেসরকারি যে কোনও প্রশিক্ষণকেন্দ্র, অঙ্গনওয়ারি সেন্টার বন্ধ থাকবে।
*শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ৫০ এবং বিয়েতে ১০০ জনের জমায়েতের অনুমতি। সেক্ষেত্রে মানুতে হবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
*এনজিও-দের স্থানীয়দের মধ্যে মাস্ক বিতরণের নির্দেশ।
*'নো মাস্ক, নো সার্ভিস'...কঠোরভাবে মানতে হবে।
*রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক রাজ্য কঠোর নির্দেশিকা জারি করার পথে। দিল্লিতে আগে থেকেই নিয়মবিধি কঠোর করা হয়েছিল। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে হরিয়ানাও। পশ্চিমবঙ্গেও আজ ২ জানুয়ারি প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। প্রয়োজনে ফের কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও। প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে সিনেমা হল, বার, রেস্তোরাঁ, জিম, স্কুল-কলেজ।
প্রসঙ্গত, ৩১ ডিসেম্বর ৭০ দিনের করোনা আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত হয়েছেন ১৬,৭৬৪ জন। পশ্চিমবঙ্গে শেষ ২৪ ঘণ্টার থেকে আরও এক হাজার বেড়েছে দৈনিক করোনা সংক্রমমিতের সংখ্যা। শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৫১, শনিবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে সেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫১২।