প্রথমে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, গ্রেটার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে পরে দিল্লি পুলিশ জানায়, গ্রেটার বিরুদ্ধে নয়, বরং তিনি যে টুলকিট (গুগল ডকুমেন্ট) শেয়ার করেছিলেন তাঁর ট্যুইটে, সেই টুলকিট-এর নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
নতুন এই ট্যুইটে ‘স্ট্যান্ড উইথ ফার্মার্স’ হ্যাশট্যাগ জুড়ে দেন থানবার্গ। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কৃষকদের পাশেই আছি। তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কোনও বিদ্বেষ, হুমকি বা মানবাধিকার লঙ্ঘন আমার মতকে বদলাতে পারবে না।’ ট্যুইটের শেষে লিখেছেন, #ফার্মার্সপ্রটেস্ট।
advertisement
মঙ্গলবার রাতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রথম ট্যুইট করেন থানবার্গ। তার ঠিক আগে বিষয়টি নিয়ে টুইটে সরব হয়েছিলেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা। তাঁর ট্যুইটের পর ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে সাড়া পড়ে যায়। ট্য্যইট, পাল্টা ট্যুইট যুদ্ধ চলতে থাকে। রিহানাদের ট্যুইটের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতের অনেকে। বিজেপি অভিযোগ তোলে, গ্রেটা থানবার্গের ট্যুইটটি প্রমাণ করছে যে, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে। বুধবার একই দাবি করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা জানায়, এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, স্বার্থান্বেষী কিছু দল বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগানোর চেষ্টা করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনও প্রচারেই ভারতের ঐক্য নষ্ট হওয়ার নয়।’ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের দাবি, ‘ভারতের বর্ধিত ক্ষমতায় ভয় পাচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তি। আমাদের দেশ এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চক্রান্ত করছে সেই শক্তি।’