শুক্রবার তিনদিন ব্যাপী দীপোৎসবের শুভ সূচনা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ১৪ বছর বনবাসে কাটানোর পর যেদিন শ্রীরামচন্দ্র, সীতাকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্পক রথে চড়ে অযোধ্যায় পা রেখেছিলেন, ঠিক সেদিন যেভাবে আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল অযোধ্যাকে। ঠিক সেভাবেই এ দিন সেজে উঠেছিল গোটা অযোধ্যা। যদিও প্রতিবছরই দীপাবলির দিন অযোধ্যা সেজে ওঠে। তবে এবারে প্রদীপের সংখ্যা ছিল অনেক বেশী। এ দিকে সরযূ নদী সংলগ্ন রাম মন্দির প্রাঙ্গণে জ্বালানো হয়েছিল ১১ হাজার মাটির প্রদীপ।
advertisement
উত্তরপ্রদেশের সরকার জানিয়েছে, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধিরা শুক্রবার আলোকজ্জ্বল অযোধ্যার মোহিত রূপ দেখতে হাজির হয়েছিলেন। তবে এবারেই শেষ নয়। আগামী বছর যে এই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে, তা জানিয়ে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। অর্থার ২০২১ সালে পবিত্র রামজন্মভূমিতে আরও বেশি সংখ্যক প্রদীপ জ্বালানো হবে, তা বলার অপেক্ষা থাকছে না।
এ দিন সন্ধ্যায় সাকেত কলেজ থেকে ভগবান রামকে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে আসা হয়। গোটা রাস্তায় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচ কিলোমিটার ব্যাপী রাস্তা ছিল গুরুকুল শিক্ষা, রাম-সিতার বিবাহ, কেওয়াত পাসাং, রামের দরবার, লঙ্কা দহনের মতো থিমে সাজান। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশেষ আরতিরও বন্দবস্ত ছিল সরয়ূ তীরে।
দীপোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলও। দীপোৎসবে মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা রাম মন্দির তৈরি এবং তার ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপনের সাক্ষী থাকতে পেরেছি। তাই নিজেদের অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। ৫০০ বছরে বহু মানুষ রাম মন্দির গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। সেই স্বপ্ন সত্যি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।" তিনি আর বলেন, "সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই আমরা দীপোৎসব পালন করছি। রাম মন্দির গড়ার সময়ও প্রোটোকল মেনেই কাজ হবে।”