ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কের জেলার কোইলিবেড়া ব্লকের ফুড অফিসার রাজেশ বিশ্বাস। তিনি ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন খেরকাট্টা বাঁধের পারালকোট জলাধারে। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে নিজস্বী তোলার সময় তাঁর হাত থেকে ১ লক্ষ টাকা দামের মূল্যবান স্মার্টফোন দুর্ঘটনাবশত পড়ে যায় জলাধারের জলে। তাঁর ফোন উদ্ধারের জন্য স্থানীয়রা ঝাঁপ দেন ১৫ ফুট গভীর জালাধারে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাঁদের সব চেষ্টা বিফলে যায়। উদ্ধার করা যায়নি ফোন।
advertisement
এর পরই ওই আধিকারিকের নির্দেশে দু’টি বড় ৩০ এইচপি ডিজেল পাম্প তিন দিন ধরে ২১ লক্ষ লিটার জল সেচে ফেলে দেওয়া হয়। সেই জল প্লাবিত হয়ে বয়ে যায় ১৫০০ একর কৃষিজমির উপর দিয়ে। এত জলকাণ্ডের পর উদ্ধার হয় সেই দুর্মূল্য স্মার্টফোন। এই জলাধারে গ্রীষ্মে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর জল থাকে। পশুদের পানের জন্যও ব্যবহৃত হয় এই জল। সেচখালের মাধ্যমে বাড়তি জল ব্যবহৃত হয় কৃষিক্ষেত্রেও।
অভিযুক্ত আধিকারিকের কথায়, ‘‘কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে রবিবার আমি ওই জলাধারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। আমরা ওখানে স্নান করি। হাত থেকে ফস্কে আমার ফোন পড়ে যায় জলে। সেখানে গভীরতা ছিল ১০ ফুট। স্থানীয়রা চেষ্টা করেও ফোনটি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। তাঁরা আমাকে আশ্বাস দেন যদি জলের গভীরতা ২-৩ ফুট কম হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ফোন খুঁজে পাওয়া যাবে। আমি এসডিও-র সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুমতি চাই। তিনি বলেন যদি সমস্যা না থাকে তাহলে কিছুটা জল আমি তুলে ফেলতেই পারি।’’
আরও পড়ুন : বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি আরাম সফরের খুঁটিনাটি জানুন
এই অনুমতির প্রেক্ষিতেই তিনি জল তুলে ফেলার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন ফুড ইন্সপেক্টর। এতে জল পেয়ে কার্যত কৃষকদের উপকার হয়েছে বলেই তাঁর মত। এর পর তিনি তিন ফুট জল ছেঁচে ফেলে দিয়ে মহার্ঘ্য ফোন উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় দাবি উঠেছে, ২১ লক্ষ লিটার জলের দাম কেটে নেওয়া হবে তাঁর বেতন থেকে।