রবিবার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল ৷ বলেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হোক ৷’ এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে রাজ্যপালের মন্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা মহিলা হাতে ৷ রাজ্যপাল হিসাবে বলব আইন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। লক্ষণরেখা যেন পার না হয় ৷’
শনিবার সন্দেশখালি অভিযানে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল ভিলেজ পুলিশের। জখম সন্দেশখালি থানার সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দম হালদার। গুলিবিদ্ধ এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক স্থানীয় বাসিন্দাও। আগুন ধরানো হয় পুলিশের দুটি বাইকে। ঘটনায় ধৃত দুজনকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত।
advertisement
দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে মৃত্যু হল ভিলেজ পুলিশের। শুক্রবার দুই দুষ্কৃতী দলের সংঘর্ষে শুক্রবার রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বউঠাকুরন এলাকা। পুলিশ খবর পায়, আতাপুর ঘাটে লুকিয়ে আছে দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন পুলিশকর্মীকে নিয়ে সেখানে অভিযানে যান সন্দেশখালি থানার সেকেন্ড অফিসার অরিন্দম হালদার।
পুলিশ আসার খবর পেয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন এসআই অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা ও ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি। গুলি লাগে স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদা হাউলিরও। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটি বাইকে।
সন্দেশখালি থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আহত পুলিশকর্মীদের ভর্তি করা হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার করে এসআই-র শরীর থেকে পাঁচটি ছড়রা গুলি বের করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যেয় মৃত্যু হয় ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির। আহত বিনোদা হাউলি এসএসকেএমে ভরতি। শনিবার সকালে কেদার সরদার ও লাল্টু সরদার নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেদারের বাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ জনতা। থমথমে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি।