সংসদ চত্বরে হঠাৎই তড়িঘড়ি গান্ধীমূর্তি স্থানান্তরের এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এর আগে ঠিক ছিল, বাজেট অধিবেশনের দুই ভাগের মধ্যবর্তী একমাস সময়ে গান্ধীমূর্তির অবস্থান পরিবর্তন করা হবে। ২০২১-এর বাজেট শুরু হতে চলেছে ২৯জানুয়ারি৷
জানা গিয়েছে, নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের জন্য স্থান পুনর্নিমানের জন্যই দ্রুত মূর্তি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
অধ্যক্ষের দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গান্ধীমূর্তির আচমকা স্থান পরিবর্তনের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন লোক সভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা স্বয়ং।
সংসদে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন বা নীতি নির্ধারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই মূর্তির পাদদেশই বরাবর বেছে নিয়েছেন বিরোধীরা। এর আগে বর্ষাকালীন অধিবেশনে রাজ্য সভায় কৃষি বিল পাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গান্ধীমূর্তির সামনে রাতভর প্রতিবাদ জানান বিরোধী সাংসদরা।
জানা গিয়েছে, পি ডব্লু ডি গান্ধীমূর্তিটিকে অত্যন্ত সন্তর্পণে আগের স্থান থেকে তিন নম্বর গেটের কাছে একটুকরো ঘাসজমির উপরে পূনর্স্থাপনের কাজটি সম্পূর্ণ করেছে৷
উল্লেখ্য, তিন নম্বর প্রবেশদ্বার দিয়ে সরাসরি অধ্যক্ষের দফতরে পৌঁছানো যায় এবং অধ্যক্ষ গেটটি সংসদে প্রবেশ করতে ব্যবহার করেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিটি শেষ পর্যন্ত বসানো হবে নতুন সংসদ ভবনের ঠিক বাইরেই কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। বর্তমানে সেই জায়গায় রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী গোবিন্দ বল্লভ পন্থের মূর্তি। পন্থের মূর্তিটি সেই স্থান থেকে সরিয়ে বসানো হবে নয়া দিল্লির পন্থ মার্গে।
গান্ধী মূর্তি স্থানান্তরের কারণে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের বিক্ষোভ অবস্থান পরিবর্তন হবে ৷ তাঁদের সমবেত হতে হবে অধ্যক্ষের দফতরের একদম সামনে।
প্রসঙ্গত, ১৬ ফিট উচ্চতার ধ্যানমগ্ন মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জের মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন শিল্পী রাম সুতার। ১৯৯৩ সালের ২ অক্টোবর মূর্তিটির উদ্ভোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডক্টর শংকর দয়াল শর্মা।