লাদাখ সীমান্ত রক্তাক্ত হতেই বিরোধীদের নিশানায় কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রধানকেই আজকের বৈঠকে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, গতকাল, বৃহস্পতিবার, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি ও বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানান তিনি। সূত্রের খবর, লাদাখের গালওয়ানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবগত করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধীদের থেকে পরামর্শও চাইবেন তিনি। লাদাখ সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলায় দেশের একতা, সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে সব দলকেই পাশে পেতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
advertisement
দেখে নিন কারা কারা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে:
- জে পি নাড্ডা (বিজেপি)
- সনিয়া গান্ধি (কংগ্রেস)
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস)
- উদ্ধব ঠাকরে(শিবসেনা)
- এমকে স্টালিন (ডিএমকে)
- এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী এবং ও পন্নিরসেলভাম (এআইএডিএমকে)
- চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিপি)
- জগনমোহন রেড্ডি (ওয়াইএসআর কংগ্রেস)
- শরদ পওয়ার (এনসিপি)
- নীতীশ কুমার (জেডি-ইউ)
- অখিলেশ যাদব (সমাজবাদী পার্টি)
- ডি রাজা (সিপিআই)
- সীতারাম ইয়েচুরি (সিপিএম)
- কে চন্দ্রশেখর রাও (টিআরএস)
- সুখবীর সিং বাদল(আকালী দল)
- চিরাগ পাসওয়ান (লোক জনশক্তি পার্টি)
- হেমন্ত সোরেন (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা)
২৩ জুন RIC অর্থাৎ রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়নার ভার্চুয়াল বৈঠক। লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পরে এই বৈঠকে নয়াদিল্লি যোগ দেবে কি না তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য স্পষ্ট করে দেয়, রাশিয়ার ডাকে তেইশ তারিখের বৈঠকে যোগ দেবে ভারত। অর্থাৎ, উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষের পরে, ২৩ তারিখই প্রথমবার মুখোমুখি হবেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।