বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের সমাজের একটি অংশ কৃষি আইন নিয়ে অপপ্রচার করছে ও নানা রকম ভুল বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে৷ সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি, এরকমই মিথ্য প্রচারের ফলে সংখ্যালঘু, ছাত্র-ছাত্রীদের মনে কুপ্রভাব পড়েছে৷ এখন একই ভাবে কৃষকদের উপরে পড়ছে৷'
advertisement
বিলের সমালোচকদের একহাত নিয়ে প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্টদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ জানে, সংখ্যালঘু, ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকদের মনে কুপ্রভাব ফেলছে কিছু স্বার্থলোভী মানুষ৷
প্রাক্তন অর্থ সচিব এস নারায়ণ, প্রাক্তন ব্যাঙ্কিং সচিব ডি কে মিত্তল, প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কুমার, প্রাক্তন পেট্রোলিয়াম সচিব সৌরভ চন্দ্র, প্রাক্তন অসামরিক বিমান মন্ত্রক সচিব কে এন শ্রীবাস্তব সহ ৩২ জন প্রাক্তন IAS অফিসার কৃষি বিলের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছেন৷
কংগ্রেসের প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রাক্তন আইএএস অফিসারদের বক্তব্য, যারা আজ এই আইনের বিরোধিতা করছে, তারাই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে লিখেছে, মিডলম্যান বা ফোড়েদের হাত থেকে কৃষকদের উদ্ধার করে আয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হবে৷
বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, 'ভুল তথ্য ছড়িয়ে, অপপ্রচার চালিয়ে কিছু স্বার্থলোভী মানুষ যে ভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে, তার তীব্র নিন্দা করিছ আমরা৷'
কৃষি বিল নিয়ে আজও কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেসনেতা রাহুল গান্ধি৷ রাহুলের মতে, নয়া কৃষি আইনগুলি কৃষকের কাছে মৃত্যুদণ্ডের সমান। কৃষি বিল যে ভাবে পাস হয়েছে, গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে।
রাজ্যসভায় কৃষি বিল পাস করানোর জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার যে বিরোধীদের দাবিকে ধামাচাপা দিয়েছে, সে অভিযোগ আগেই তুলেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। সোমবার ফের একই দাবি করেছেন রাহুল। এ দিন ট্যুইটারে একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট পোস্ট করে রাহুলের দাবি, কৃষি আইন আমাদের কৃষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ড। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। ভারতে যে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটেছে, এটাই তার প্রমাণ।