জানা গিয়েছে, রুদ্র তেজ সিং নামে ওই শিশুটি গুরুগ্রামের সেক্টর ৬২-র পাওনিয়ার প্রেসিডিয়া হাউজিং সোসাইটিতে থাকত৷ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ খেলে আবাসনে নিজেদের ফ্ল্যাটে ফেরে সে৷ সেই সময় ওই বালকের সঙ্গে গৃহ পরিচারক ছিলেন৷
ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলে ফেরার সময় লিফট থেকে নেমেই ওই শিশুটি ছুটে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে যায়৷ ফ্ল্যাটের সদর দরজায় অটো লক সিস্টেম থাকায় দরজাটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়৷ ফলে শিশুটির সঙ্গে থাকা পরিচারক ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারেননি৷ ভিতর থেকে দরজা তালাবন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই পরিচারক দরজা খুলতেও পারেননি৷
advertisement
সেই সময় ফ্ল্যাটে আর কেউ ছিলেন না৷ শিশুটির বাবা প্রকাশ চন্দ্র একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী৷ তার মা পেশায় চিকিৎসক৷ দু জনেই তখন বাড়ির বাইরে ছিলেন৷ ফলে ফাঁকা ফ্ল্যাটে ভয় পেয়ে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে৷ ঘাবড়ে গিয়ে সে ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে চলে যায়৷
আতঙ্কিত শিশুটি বারান্দায় গিয়ে কাপড় শুকনোর জন্য ব্যবহৃত একটি ধাতব রডের উপরে উঠে সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকে৷ তখনই ভারসাম্য হারিয়ে তেইশ তলার ব্যালকনি থেকে নীচে পড়ে যায় শিশুটি৷
সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা৷ যদিও চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল রুদ্র৷
