সোমবার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন দিল্লিতে শৈত্য় প্রবাহের পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্য়মানতা ২৫ মিটারে নেমে আসে। আজও দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের বহু জায়গাতেই কুয়াশার কারণে দৃশ্য়মানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে এসেছে। সঙ্গে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা তো রয়েইছে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা নিয়ে মেগা আপডেট দিল আবহাওয়া দফতর, বড় চমক ওয়েদার আপডেটে
advertisement
ভারতীয় আবহবিজ্ঞান দফতর আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় লাল এবং হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। পঞ্জাব থেকে হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহার পর্যন্ত কুয়াশার ঘন চাদর বজায় থাকবে বলেই আবহ দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ঠান্ডায় রীতিমতো কাবু হয়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। কারণ দিল্লির অধিকাংশ জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গার থেকে নীচে নেমে এসেছে। টানা পাঁচ দিন ধরে এই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।
আবহবিদরা বলছেন, উত্তর ভারতের বরফে ঢাকা পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ঠান্ডা বাতাস হু হু করে ঢুকছে। বায়ুমণ্ডলে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার মতো বাধা তৈরি না হওয়ায় একটানা এই কনকনে ঠান্ডার দাপট বজায় থাকছে।
আরও পড়ুন: প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে কোন কোন স্থান? শৈত্যপ্রবাহই বা কোথায়? জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে উত্তর ভারতে অন্তত ৩৬টি ট্রেন দেরিতে চলছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৬৭টি ট্রেন চলাচলে দেরি হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অন্য়দিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০টি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। পাঁচটি বিমানকে অন্য়ত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে রাজস্থানও।
উত্তর ভারতের পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে পূর্ব ভারতের ওড়িশাও। কোরাপুট জেলার সিমলিগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৭ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। অন্য়দিকে সুন্দরগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৩ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। ফুলবানি এবং ঝাড়সুগুদায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪.৯ ডিগ্রি এবং ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর প্রদেশের এটাওয়াতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।