পূর্ণিয়া জেলার পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক চিকিৎসক রাজেন্দ্রপ্রসাদ মণ্ডল জানান, ডিএনডিআই-এর সহায়তায় জেলার আশা কর্মীদের কালাজ্বর সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে আশার কথা হল, জেলায় কালাজ্বরের রোগীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু সরকারের লক্ষ্য হল এই রোগকে একেবারে নির্মূল করা। তাই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কালাজ্বরের রোগী আছে কি না তা খুঁজে দেখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আইআরএস স্প্রে করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল অফিসার ও প্যারা-মেডিক্যাল কর্মীদের সহযোগিতায় সেই অভিযান শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন আধিকারিক।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতে ফিরলেন না বাড়িতে, কোথায় গেলেন সায়নী ঘোষ? শুক্রবার নিয়ে বিরাট জল্পনা
সচেতনতামূলক কর্মসূচি
ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক নবীনকুমার আফরোজিয়া বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে আশা কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে কালাজ্বর আক্রান্ত গ্রামে আইআরএস ছড়ানো হয়। এই বছর স্থানীয় ব্লকে মাত্র একজন পিকেডিএল রোগী পাওয়া গিয়েছে। আপাতত তিনিও সুস্থ।’
উপসর্গ চিহ্নিতকরণ—
বিহারের আইইসি কো-অর্ডিনেটর রাজকিশোর রাই বলেন, কোনও ব্যক্তির একটানা দুই সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকলে সতর্ক হতে হবে। এর সঙ্গে যদি ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ, মুখে কালো ছাপ, পেট ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সম্পূর্ণ বিনামূল্যের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত’, হঠাৎ কাকে নিশানা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা? ঝড় তুললেন বাঁকুড়ায়
জটিলতা মোকাবিলার প্রস্তুতি
এই রোগের জটিলতার সঙ্গে লড়াই করতে ভবানীপুর ব্লকের ৮০ জন আশা কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক নবীনকুমার আফরোজিয়া, বিসিএম সতীশকুমার রাম, বিএমএনই প্রশান্তকুমার জয়সওয়াল, বিএইচডব্লিউ অশোককুমার মালাকার, পরিবার পরিকল্পনা আধিকারিক দুর্গেশ কুমার, স্বাস্থ্যকর্মী সুরেশ রাম, আইইসি বিহার কো-অর্ডিনেটর রাজকিশোর রাই প্রমুখ।