আরও পড়ুন: দেশের খেয়ে পাকিস্তানে গোপন তথ্য পাঠাত গুজরাটের ব্যক্তি! প্রতিদিন মিলত মাত্র ২০০ টাকা
কেরলে এমনই একটি ভয়ংকর ঘটনা সামনে এসেছে। নাবালিকা সৎকন্যার সঙ্গে একাধিকবার ধর্ষণের অপরাধে মালাপ্পুরমের একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট অভিযুক্ত সৎবাবাকে ১৪১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মালাপ্পুরমের মঞ্জেরিতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি সৎ কন্যাকে বছরের পর বছর ধর্ষণ করেছিল। মঞ্জেরি ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টের বিচারক আশরাফ এ.এম. অভিযুক্তকে পকসো আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং জুভেনাইল জাস্টিস আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত করে ১৪১ বছরের কারাদণ্ড দেন।
advertisement
বিচারে উঠে আসে, অভিযুক্ত এবং তার স্ত্রী মূলত তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। সৎ বাবা ২০১৭ সাল থেকে মেয়েটির ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। মা বাড়ি ছাড়লেই সৎবাবার মধ্যে থাকা দানব জেগে উঠত এবং সে মেয়েটিকে নির্যাতন করত।
আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তকে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব শাস্তি একসঙ্গে কার্যকর হবে, যার মধ্যে সর্বাধিক ৪০ বছরের কারাদণ্ড তাকে ভোগ করতে হবে। আদালত ২৯ নভেম্বর এই রায় ঘোষণা করে।
দীর্ঘদিন সৎবাবার নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর, মেয়েটি তার এক বন্ধুকে এই ঘটনা জানায়। বন্ধুর পরামর্শে সে মায়ের সঙ্গে কথা বলে। মেয়েটির মা ঘটনা জানার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আদালতে শুনানি শুরু হয় এবং অবশেষে অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়া হয়।
আদালত অভিযুক্তের উপর ৭.৮৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে এবং ওই অর্থের একাংশ ভুক্তভোগী মেয়েটিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে।