গুজরাটের সবরকন্ঠা জেলার পুলিশ সুপার বিজয় প্যাটেলের তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটির বাবা এই ভয়াবহ কাজে বাধ্য হন৷ তার ভাই দিলীপ একটি কোম্পানিতে কাজ করত৷ যেখান থেকে সে ১.৬ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে উধাও হয়ে যান। ফলে ঋণ শোধের দায় পরিবারের উপর এসে পড়ে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! নির্মীয়মান সেতু থেকে উড়ে এসে খালে পড়ল বাইক, নিহত ২
advertisement
দিলীপের পালানোর পর ঋণদাতা টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিতে থাকেন। মেয়েটির বাবা, যিনি ঋণের গ্যারান্টার ছিলেন, চরম চাপের মুখে পড়েন। সমস্যার সমাধানে, পরিবারের আর এক আত্মীয় অর্জুন একটি ভয়ঙ্কর পরামর্শ দেন—মেয়েটিকে বিক্রি করে টাকা শোধ করার। মেয়েটির মা জোরালো আপত্তি জানালেও বাবা এই বেআইনি চুক্তিতে রাজি হন।
পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে মেয়েটির বাবা এবং পাঁচজন আত্মীয় রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা উম্মেদ সিং-এর সঙ্গে একটি নোটারি চুক্তি করেছিলেন। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল যে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হলে উম্মেদ সিং-এর ছেলের সাথে তার বিয়ে হবে। এই চুক্তিতে দেখানো হয় যে, পারিবারিক আর্থিক সংকট এই ঘটনার পেছনে প্রধান কারন। ৪ লক্ষ টাকা ছয়জন অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা চার সন্তানের মা সীমা হায়দারকে মনে আছে? ফের গর্ভবতী তিনি! দেখুন ভাইরাল ভিডিও
মোট টাকার মধ্যে, ১.৬ লক্ষ টাকা দিলীপের ঋণ শোধ করতে ব্যবহার করা হয়, ৩০ হাজার টাকা অর্জুনকে দেওয়া হয় চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য, এবং ২০ হাজার টাকা লখপতি নাথকে দেওয়া হয়, যিনি মেয়েটিকে পরিবহনের জন্য গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন। অবশিষ্ট ১.৯ লক্ষ টাকা মেয়েটির বাবা নিজের কাছে রাখেন।
শনিবার, পুলিশ অর্জুন নাথ, শরিফা নাথ, লখপতি নাথ, এবং শ্রবণ নাথকে গ্রেপ্তার করে, যারা এই অপরাধে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে মেয়েটির বাবা এবং ক্রেতা উম্মেদ সিং এখনও পলাতক।
উদ্ধার হওয়া মেয়েটি পুলিশকে জানায় যে তাকে উম্মেদ সিং-এর বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মেঝে মোছা এবং বাসন ধোয়ার মতো কঠোর গৃহস্থালি কাজ করতে বাধ্য করা হত।