জানা গিয়েছে, আনজনেয়া প্রসাদ, আনমাইয়া জেলার ওবুলভারিপাল্লে মণ্ডলের মঙ্গমপেট গ্রামের বাসিন্দা৷ তিনি বিগত ১৫ বছর ধরে কুয়েতে কাজ করছিলেন। তিনি “প্রসাদ কুয়েত” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন এবং কুয়েতে চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ বনাম মাও-এর ভয়ঙ্কর গুলির লড়াই! বস্তারে ‘সাফ’ সাত মাওবাদী
বিয়ের পর আনজনেয়া প্রসাদ তার স্ত্রীকে কুয়েতে নিয়ে যান এবং তারা একসঙ্গে একটি কন্যাকে বড় করেন। তবে, তিনি তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির কাছে রেখে দিয়েছিলেন এবং তাদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা পাঠাতেন। এক বছর আগে, আনজনেয়া প্রসাদ তার এক আত্মীয়া লক্ষ্মীকে, তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে কুয়েতে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি তার মেয়ের দায়িত্ব তার স্ত্রীর ছোট বোনকে দেন।
advertisement
লক্ষ্মী এবং তার স্বামী ভেঙ্কটরামণা প্রথমে মেয়ের প্রতি যত্নবান ছিলেন। কিন্তু পরে তারা আর মেয়েকে দেখাশোনা করতে অস্বীকার করেন। মেয়ের মা কুয়েত থেকে আনমাইয়া জেলায় ফিরে আসেন এবং জানতে পারেন যে লক্ষ্মীর এক আত্মীয় তার মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন। মা এবং মেয়ে ওবুলভারিপাল্লে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ অভিযুক্তকে শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দেন এবং মা-মেয়েকে ফিরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশ! দেশ পাল্টে ভারতে আসতে চাইছে একাধিক বড় ব্র্যান্ড?
পুলিশের এই ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ হয়ে আনজনেয়া প্রসাদ নিজেই প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ৬ই ডিসেম্বর, তিনি কুয়েত থেকে ভারতে আসেন এবং লোহার রড দিয়ে অভিযুক্তকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি একই দিনে কুয়েতে ফিরে যান। পুলিশ তদন্ত শুরু করে, কিন্তু প্রথমে কোনও সূত্র পায়নি।
পরে আনজনেয়া প্রসাদ তার ইউটিউব চ্যানেলে একটি স্বীকারোক্তি ভিডিও পোস্ট করেন, যা তার আত্মীয় ও বন্ধুদের হতবাক করে। পুলিশ আনজনেয়া প্রসাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে কুয়েত থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনা বিচার ব্যবস্থা, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং মানবাধিকারের উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
